• ঢাকা
  • সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


ত্রাণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বাড়ছে নারী শিক্ষার্থীদের


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
ত্রাণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বাড়ছে নারী শিক্ষার্থীদের

দেশের ১১টি জেলার প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বন্যায় ডুবে আছে। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় মানুষ জীবন বাঁচাতে ছুটে গিয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে। অনেকেই আটকা পꦕড়ে আছেন। বন্যাকবলিত এসব অসহায় মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিতে ‘গণত্রাণ’ সংগ্রহ কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন🎉। যার প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শুরুর দিকে এই কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ কম থাকলেও এখন তা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, জিমনেশিয়াম, ডাকসু কౠ্যাফেটেরিয়া, ও সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের ত্রাণ প্রক্রিয়াজাতকরণে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণ ছিল প্রায় সমান সমান। টিএসসির গেটে বৈষম্যবিরোধ♏ী ছাত্র আন্দোলনের একমাত্র নগদ অর্থ গ্রহণ বুথের অধিকাংশ স্বেচ্ছাসেবীই নারী শিক্ষার্থী। তারা পারদর্শিতার সঙ্গেই এ কাজ সম্পন্ন করছেন। 

টিএসসির ভেতরে স্পোর্টস রুমে নারীদেরকে পলিথিনের ব্যাগে মুড়ি ও গুড় ভরতে দেখা যায়। ক্যাফেটেরিয়াতে নারীদেরকে ত্রাণের ব্যাগ পরিবহন কর🐎তে দেখা যায়। এমনকি হ্যান্ড মাইক হাতে সাধারণ জনগণকে🧔 বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা দিতেও দেখা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামেও নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়ে෴ছে। এখানে নারী শিক্ষার্থীদের পলিথিনের ব্যাগে স্যালাইন, ঔষধ, মুড়ি ও চিড়া ভরতে দেখা যায়। তবে কিছু কিছু শিক্ষার্থীরা ভারী ভারী ব্যাগও পুরুষদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহন করছিল। এখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথেও বয়স্ক নারীরাও অংশগ্রহণ করেছিল।

ডাকসু ক্যাফেটেরিয়া ও সামাজিক বিজ্ঞান ভবনেও নারীদেরকে একই ধরনের ভূমিকায় দেখা 🎉যায়।

জিমনেশিয়ামে উপস𝓡্থিত রাজধানীর নূর মোহাম্মদ কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া বলেন, “দেশপ্রেমের টানে এখানে এসেছি। আমার ভাইদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলে কাজ করছি। দেশটা শুধু পুরুষদের না আমাদেরও। আমরাও এই ইতিহাসের সাক্ষী হতে চাই।”

নারীদের অংশগ্রহণ ক্রমেই বাড়তে চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ডাকসু ক্যাফেটেরিয়া থেকে সুমাইয়া নামের এক ঢাবি শিক্ষার্থী বলেন, “নারীরা আজ পিছিয়ে নেই। এর আগে কোটা আন্দোলনে ছিলাম। এখনও সব ধরনের আন্দোলনে থাকব। বন্যায় আমার দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে আর নারীরা ঘরে বসে থাকতে পারে না। কারণ নারীরা বেশি সংবেদনশীল। বন্যায় ♏কবলিত মানুষের আহাজা🅺রি দেখে নারীরা ক্রমেই ত্রাণ সহায়তার কার্যে এগিয়ে আসছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়েಌর জিমনেসিয়ামে নেতৃত্বদানকারী স্বেচ্ছাসেবক রিয়াজ হোসেন বলেন,  নারীদের অংশগ্রহণ অনেক বেশি। শুধু শিক্ষার্থীরাই নন সাধারণ নারীরাও এখানে কাজ করছেন। নারীদেরকে সাধারণত কষ্টসাধ্য কাজ দেওয়া হচ্ছে না। তারা ঔষধ, স্যালাইন ও মুড়ি ব্যবস্থাপনা𒆙র দায়িত্বটা পালন করছেন। তবে কিছু কিছু নারী ভারী কাজও করছেন। নারীদের এমন কার্যক্রমে আমরা পুরুষরাও আরো বেশি অনুপ্রাণিত হচ্ছি।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!