বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস লাভ করে ২০০০ সালের জুন মাসে। ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরেই বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয় পেয়ে যেত। তাও আবার শক্তিশালী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে। কিন্তু ৩ থেকে ৬🐻 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতানে অনুষ্ঠিত ওই টেস্টে খালেদ মাহমুদ সুজনের নেতৃত্꧅বাধীন বাংলাদেশের জয় কেড়ে নেওয়া হয়েছিল জোর করে।
তার পেছনে হাত ছিল পাকিস্তানি অধিনায়ক ও উইকেটকিপার রশিদ লতিফ এবং শ্রীলঙ্কার আম্পায়ার অশোকা ডি সিলভা। সেদিন পাকিস্তান জিতেছিল ১ উইকেটে। সেই অবৈধ জয়ের মধুর প্রতিশোধ নি꧅য়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল বাং🌟লাদেশ। রোববার রাওয়ালপিন্ডিতে ১০ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
রোববার পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৪৮ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয়। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে 🅷৩০ রান করে।
মুলতানের ওই টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে 🐭২৮১ রানে করে পাকিস্তানের (১৭৫) চেয়ে ১০৬ রানে এগিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র ১৫৪ রান করে ﷺরশিদ লতিফের ‘ক্যাচ জোচ্চরি’ এবং অশোকা ডি সিলভার ‘অবৈধ কল’ এর কারণে। ইয়াসির আলির একটি ডেলিভারি বাংলাদেশের সেট ব্যাটার অলক কাপালির ব্যাটে লেগে তা পেছনে উইকেটকিপার রশিদ লতিফের কাছে চলে যায়। বলটি মাটিতে পড়ে ড্রপ খেয়ে উপরে উঠলে রশিদ লতিফ তা ধরে নিয়ে আউটের আবেদন জানান। আর অশোকা তাতে সায় দেন। কাপালির আউটের পর ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৬২ রান করে জয়ী হয়। অশোকা ওই টেস্টে আরও কয়েকবার বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেন। ওই ঘটনার পর আইসিসি পাঁচ ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড করে লতিফকে। অশোকাকেও নিষিদ্ধ করে। কিন্তু ম্যাচের ফলাফল তো সেটাই রয়ে গেছে।
এবারের জয়টির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তার কারণ, বাংলাদেশ এই প্রথম পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ জিতেছে। ২১ বছর আগে সুজন ছাড়াও বাংলাদেশ দলে ছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন, মোহাম্মাদ আশরাফুল, খালেদ মাসুদ পাইলট, রাজিন সালেহ, মোহাম্মাদ রফিকের মতো সাবেক তারকারা। আর এবার তাদের কষ্ট দূর করতে শান্ত বাহিনীর ঐতিহাসিক জয়ে দারুণ অবদান রাখেন মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান,🐲 সাদমান ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ, লিটন দাস, শরিফুল ইসলাম, মুমিনুল হক, হাসান মাহমুদ সহ একাদশের সকলেই।