যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য শেষ হওয়া প্রেসিডেন্♏ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির আলোচিত প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু পশ্চিমা ঘরানার বিশ্বনেতারাই নন, এমনকি ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছে আমেরিকার চির শত্রু ꦇরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে চলতে আনন্দের বন্যা।
তবে এত কিছুর পরেও ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত অভিবাসী ইস্যু নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। বিশেষত, ট্রাম্পের বিজয়ের পর নিজেদের ভবিষ্যত ন♏িয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন লাখ লাখ মার্কিন অভিবাসী। যাদের মধ্যে অন্তত ১৬ লাখই ভারতীয়।
ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাখ লাখ মার্কিন অভিবাসীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক পেয়ে বসেছে ভারতীয় অভিবাসীদের। যারা ট্রামের জয়কে ভালোভাবে নিতে পারেননি। কারণ, ♌ট্রাম্প তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারেন।
বিগত ২০২২ সালের মার্কিন আদমশুমারি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ৪৮ লাখ ভারতীয়ের মধ্যে ১৬ লাখেরই জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। ট্রাম্পের নতুন নীতির মাপকাঠিতে, তাদের কেউই মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার যো꧂গ্য নয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প তীব্র অভিবাসীবিরোধী হিসেবেই পরিচিত। দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হয়েই তিনি অনুপ্রবেশ ও অভিবাসন রুখতে কড়া নীতি গ্রহণ করতে চলেছেন। তার সেই নীতির ফলে গ্রিন কার্ডের অপেক্ষায় থাকা মার্কিন অভিবাসীদের সন্তানরাও আগামী দিনে জন্মস🍸ূত্রে আমেরিকার নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবে না।
মূলত, ট্রাম্পের অভিবাসী সংক্রান্ত নির্দেশিকায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেতে বেঁধে দেওয়া হয়েছে কিছু কড়া শর্ত। যেগুলোর প্রথম ধাপেই বাদ পড়বেন অবৈধ অভিবাসীরা। নির্দেশিকায় বলা থাকবে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রে জন্মেছে বলেইꦗ কোনো শিশুকে আর নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।
তবে সেই সন্তানের মা-বাবার মধ্যে যেকোনো একজন যদি মার্কিন নাগরিক হন তাবেই তাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অথবা বাবা-মার যদি গ্রিন কার্ড বা স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি থাকে তবে তাদের সন্তানরা আগামী♋ দিনে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে।
এদিকে, রিপাবলিকান প্রার্থীদের নির্বাচনি ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই এ বিষয়ক একটি নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করবেন সদ্য বিজয়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আর টাইমস অব 🦄ইন্ডিয়া বলছে, নতুন এই নীতির ফলে বিপাকে পড়বেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অভিবাসীরা। এর মধ্যে ভারতীয় অভিবাসী রয়েছেন কয়েক লাখ।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় অনেক গুরুত্ব পেয়েছে অভিবাসী ইস্যু। প্রচারণার সময় অভিবাসীদের নিয়ে নিজের কঠোর অবস্থানের কথাও জানিয়েছিলেন ট্র♌াম্প। তিনি ক্ষমতায় এলে অবৈধ অভিাবাসীদের বিতাড়িত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে রেখেছেন। এমনকি, জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়টি পাকাপোক্তভাবে বন্ধ করে দেবেন।