কুষ্টিয়ার কু☂মারখালীতে মাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জোর করে কাবিননামায় স্বাক্ষর করিয়ে বিয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় নামে ও অজ্ঞাতনামা ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কুমারখালী থা⭕নায় ভুক্তভোগী ওই মেয়ের মা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুল🐼িশ।
গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পান্টি বাজার এলাকায় এক কলেজছাত্রীর নিজ বাড়িতে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জোর করে কাবিননামায় স্বাক্ষর করিয়ে বিয়ে করে তিতাস (৪০) নামে একজন। অভিযুক্ত তিতাস পান্টি এলাকার মৃত ইব☂্রাহিম বিশ্বাসের নাতি। তিনি বরিশালꦡের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, “স্থানীয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী রোমান ও লাহোরী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিতাসসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে পাকা ও দেওয়ালে ঘেরা বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে প্রবেশ করে। এসময় তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, দা, ডাসা, দড়ি ছিল। তারা এসেই আমাকে বলে, ‘তোর মেয়েকে তিতাসের সাথে বিয়ে দিতে হবে। না হলে মেরে ফেলা হবে।’ বিয়েতে⛦ রাজি না হলে ওরা প্রথমে আমাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মেয়ের ঘরে নিয়ে যায়। পরে মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে কাবিননামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।”
মামলার বাদী আরো বলেন, “এ বিয়ে আমরা মানি না। থানায় মামলা করা ꦅহয়েছে। পরিবার নিয়ে আমরা খুব ভয়ে আছি।”
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বলেন, “প্রায় ৬ বছর আগে থেকে তিতাস আমাকে বিয়ের কথা বলে আসছে। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে বিয়ের কথা বলে। মাকে বেঁধে রেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। একপর্যায়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়ಞ। পরে ভয়ে কাবিননামায় স্বাক্ষর করেছি। স্বাক্ষর করা হলে রাত দেড়টার দিকে ওরা চলে যায়।”
ওই বাড়🎉ির ভাড়াটিয়া রায়হান উদ্দিন বলেন, “দোকান বন্ধ করে রাত ১০টার দিকে বাসায় ফিরে এসেছি। সেসময় রোমান, লাহোরীসহ কয়েকজন আমাকে ডাক দেয়। বাইরে আসামাত্রই মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে এক রুমে আটকে রাখে🐻। পরে জানতে পারি অস্ত্র ঠেকিয়ে বিয়ে করে চলে গেছে তারা।”
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তিতাসের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করাౠ হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া য🀅ায়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, “এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় ꦐএকটি মামলা করেছ🃏েন। রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। অভিযোগ পেয়ে এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
