দুইদিনের টানা অতি ভারী বর্ষণ আর পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে একেবারে থৈ থৈ করছিল কক্সবাজার শহর। হোটেলবন্দী হয়ে পড়েছিলেন সৈকতে ঘুরতে আসা অন্তত ২৫ হাজার পর্যটক। তবে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্♋বর) ভোর থেকেই শহরে জমে থাকা পানি সাগর আর নদীতে নামতে শুꦯরু করেছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে শহরের প্রধান সড়ক, কলাতলী সৈকত সড়কের পানি পুরোপুরি সরে গেছে। ফলে স্বস্তি ফিরেছে দুই দিন ধরে হোটেলকক্ষে🦂 আটকে থাকা পর্যটকের মধ্যে। মুক্তি পেয়েই তারা দল বেঁধে ছুটছেন সমুদ্রসৈকতে। তবে বেশ কিছু উপসড়কে কাদা ও ময়লা পানি জমে থাকায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরা।
অবশ্য সৈকতে গিয়েই পর্যটকদের বৈরী আব꧙হাওয়ার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কারণ ইতোমধ্যে নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়🗹ছে সৈকতে। সেজন্য গোসলে নামা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উপকূলে তিন নম্বর সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতার কারণে দুই দিন ধরে হোটেলবন্দী থাকার পর সৈকতে ছুটে গিয়ে বৈরী আবহাওয়ায় তারা হতভম্ব হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় সূত্রমতে, সাগরে গোসলে ๊নামতে নিষেধ করে সৈকতের বালুচরে ইতোমধ্যে একাধিক লাল নিশানা ♐ওড়ানো হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। যদিও এই সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই পর্যটকদের অনেকে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। এতে যেকোনো সময় বিপদের ঝুঁকি থাকছে।
সকালে কল♒াতলী সমুদ্রসৈকতে বৈরী পরিবেশেই কয়েক হাজার পর্যটককে বালুচরꦓে দাঁড়িয়ে উত্তাল সাগর উপভোগ করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ মুঠোফোনে ছবিও তুলছিলেন। কেউ বা ঘোড়ার পিঠে ও বিচ বাইকে চড়ে ছুটছিলেনও।
এদিকে, ভারী বর্ষণ ও ܫপাহাড়ি ঢলে সৈকতের কয়েকটি অংশ ভেঙে গেছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি চৌকি ও কয়েকটি দোকান ভাঙনের মুখে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে কোনো কোনো পর্যটক সমুদ্রের পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছেন। ꩲসি-সেফ লাইফগার্ডের কর্মীরা বাঁশি বাজিয়ে পর্যটকদের সতর্ক করছেন। কিন্তু সেদিকে কারও খেয়াল নেই।