“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না করার জন্য ইংরেজদের নিকট ১৭ বার স্মারকলিপি দিয়েছিল রবীন্দ্রনাথ🎶 ঠাকুর” এমন বক্তব্যে অধ্যাপক ড, সলিমুল্লাহ খানের নাম ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো 💛হয়েছে।
তবে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহꦗ খান জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জড়িয়ে এমন কোনো মন্তব্য তিনি করেননি।
এ প্রসঙ্গে ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, “একেবারেই ‘ভুয়া’ এই প্রচারণা। আমি এমন কোনো কথা বলিনি। আমি যা বলেছিলাম, তাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোনো উল্লেখ নেই। এ কথা সত্য যে, কলকাতার এবং ঢাকার প্রসিদ্ধ বু♛দ্ধিজীবীদের অনেকেই বহুদিন ধরে এই অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। আমার কথার অন্যতম উৎস পরলোকগত ড. রমেশচন্দ্র মজুমদারের বই ‘জীবনের স্মৃতি⛎দীপে’ (১৯৭৮ সালে কলিকাতায় জেনারেল প্রিন্টার্স কর্তৃক প্রকাশিত)। রমেশচন্দ্র মজুমদার মহোদয় জানিয়েছিলেন স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এবং তৎকালীন আরও অনেক হিন্দু নেতা ঢাকায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ঘোর বিরোধিতা করেছিলেন। এইরকম একজন বড় বিরোধিতাকারীর নাম সেকালের প্রখ্যাত আইনজীবী ‘রাসবিহারী ঘোষ’। ঢাকার আইনজীবী ও জননেতা আনন্দচন্দ্র রায় এই বিরোধিতায় নেতৃত্ব দিতেন। মজার বিষয় এই বিরোধিতা ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জারি ছিল।”
ড. সলিমুল্লাহ খান আরও বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে লিখেছিলেন এমন কোনো অভিযোগ অন্তত রমেশচন্দ্র মজুমদারের বইতে পাওয়া যায় না। তিনি ১৯২৬ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণ গ্রহণ♓ করে পরিদর্শন🔯 সফরে গিয়েছিলেন।”
এদিকে, রিউমার 𝄹স্ক্যানার টিম অনুসন্ধান করে জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা নিয়ে রব🦹ীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জড়িয়ে অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান এমন কোনো মন্তব্য করেননি। বরং কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই উক্ত মন্তব্য সলিমুল্লাহ খানের ‘মন্তব্য’ হিসেবে প্রচারিত হচ্ছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিটির সূত্রপাত খুঁজে বের করার চেষ্টা করে রিউমার স্ক্যানার টিম। ফেসবুক মনিটরিং টুল ব্যবহার করে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ৪৪ মিনিটে ‘MH Sujon Mahmud’ নামক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত সম্ভাব্য প্রথম () খুঁজে পাওয়া যায়। তবে উক্ত পোস্টে এই তথ্যেরও বিষয়ে কোনো তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়নি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিরোধিতা করেছেন কি না এমন🐼 তথ্যের অনুসন্ধানে ‘MSI KHAN’ নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর প্রকাশিত ড. সলিমুল্লাহ খানের একটি () বক্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিওটির ২ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে ড. সলিমুল্লাহ খান সৈয়দ মোকশেদের একটি বইয়ের তথ্যসূত্র দিয়ে বলেন, “সবাই যে আলোচনা করেন যে, রবীন্দ্রনাথ এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন, ১৯২৬ এ এসেছিলেন, রমেশচন্দ্রের বাসায় ছিলেন, বুড়িগঙ্গার নৌকায় ছিলেন, সবই সত্য কথা, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে বক্তৃতা দিয়েছিলেন সবই ঠিক আছে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপ♉ারে রবীন্দ্রনাথ কোনো বিরোধিতা করেননি। কিন্তু তার উৎসাহ একটু কম ছিল।”
এছাড়া আলোচিত দাবির পﷺ্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধান করে গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রে এ সংক্রান্ত কোনো ত🌼থ্য পাওয়া যায়নি।