গত দুদিনের বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীতে ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।🍒 এতে জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে আটটিতেই বন্যার পানি বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জেলার সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সদর, সܫোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলার বন্যার পানি। যার কারণে এলাকার বন্যার্ত মানুষ সীমাহীন কষ্টে দিন যাপন করছেন।
জানা যায়, নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় গত ১৫ দিন বন্যার পানি স্থানীয় জলাবদ্ধতায় রূপ নেয়। এতে এখনো পানিবন্দী রয়েছেন ১১ লাখ ৫৫ হাজার মানুষ। ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫ হাজার ৪৪১ জন মানুষ অবস্থান করছেন। বন্যায় এ পর্যন্ত ১১ জনে💝র মৃত্যু হয়েছে।
জেলা আবহাওয়📖া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলা শহর মাইজদীত෴ে ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সকাল থেকেও বৃষ্টি হচ্ছিল। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে এখানকার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নিন্মাঞ্চলীয় উপজেলাগুলোতে কোথাও ৩-৪ ফুট, কোথাও ক🏅োথাও ৭-৮ ফুট পানি বৃদ্🔯ধি পেয়েছে। এ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশিত হওয়ার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় জলাবদ্ধতার পানি নামছে খুবই ধীর গতিতে। এ জন্য স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
কবিরহাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, “বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে কবিরহাট উপজেলার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে আমাদের দাবি পানি নিষ্কাশিত হওয়ার সঠিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে দ্রুত বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি সমস𝓀্যা সমাধাಞন করা হোক।”
অপর দিকে, বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে নোয়াখালীল দ্বীপ উ🌌পজেলা হাতিয়াতে শুক্রবার বিকেলে ১০টি মাছধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। ৫💙টি ট্রলারসহ এখনো ১৭জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, নোয়াখালীতে বন্যা পরবর্তী জলাবদ্ধতা আগে থেকেই ছিল। এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে জেলা প𒆙্রশাসন আগের মতোই মানুষের পাশে দাঁড়াবে।