• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


এ যেন সিনেমার কাহিনি!


জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২১, ০৭:০৩ পিএম
এ যেন সিনেমার কাহিনি!

নিখোঁজ হয়েছ𝔍িলেন প্রায় দুই যুগ আগে। ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। ❀কিন্তু ভাগ্যে থাকলে সবই সম্ভব। অবশেষে ২২ বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে এলেন বৃদ্ধা ছালেহা বেগম (৬৫)।

জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপꦅুরে তাঁকে নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এসময় পরিবারসহ এলাকায় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সরিষাবাಌড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের চর বাঙ্গালিপাড়া গ্রামের মৃত বিলাত রাজের মেয়ে ছালেহা বেগম। প্রায় ২৬ বছর আগে পৌরসভার মাইজবাড়ি গ্রামের রসুল মিয়ার সাথে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের ৪ বছর পর থেকেই স্বামীর সাথে দাম্পত্য কলহ শুরু হলে সালেহা বেগম বাবার বাড়িতে চলে যান। পরিবারের লোকজন তাকে স্বামীর ঘরে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিলে অভিমান করে বাবার বাড়ি থেকে তিনি নিরুদ্দেশ হন। উভয় পরিবার অনেক♌ খোঁজাখুজি করেও তাঁকে ফিরে পাননি। এভাবে কেটে যায় ২২ বছর। তাঁর ফিরে পাওয়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন সবাই।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর রকিবুল হক জানান, ১৯৯৯ সালে মুন্সিগঞ্জের কাটাখালী গ্রামের একটি রাস্তায় দায়রা জজ আদালতের অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন তাঁকে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। তখন তিনি তাঁর💃 নাম পরিচয় বলতে পারেননি। এভাবে পরিচয়হীনভাবে কেটে ♍যায় দীর্ঘ দিন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর হঠাৎ তাঁর স্মৃতি ফিরে আসে। তখন অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেনকে তাঁর পরিচয় খুলে বলেন। পরে ওই দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি সরিষাবাড়ী থানাকে অবহিত করেন। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে ছালেহার পরিবারের সন্ধান পায়। পরে ছালেহার বড়ভাই সামছুল হক রাজ রোববার (১০ অক্টোবর) সরিষাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে পুলিশ ছালেহা বেগমকে মুন্সিগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে সোমবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

এ ব্যাপারে ছালেহার বড় ভাই সামছুল হক রাজ বলেন, ছালেহা ২২ বছর আগে বাড়ি থেকে ▨নিরুদ্🦩দেশ হয়। অনেক খুঁজেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এখন তাঁকে ফিরে পেয়ে সবাই বেশ আনন্দিত।

Link copied!