বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা স্লো আর টার্নিং উইকেটে খেলে অভ্যস্ত। কারণ বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বেশিরভাগ ম্যাচ খেলে থাকে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। আর হোম অ্যাডভান্ဣটেজ নিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এই স্টেডিয়ামের পিচগুলো বানানো হয় স্লো আর টার্নিং। কিন্তু বিদেশের বাউন্সি ও স্পোর্টিং পিচে নামলেই যেন খেই হারিয়ে ফেলে স্লো অ্যান্ড টার্নিং উইকেটের রাজত্ব করা টাইগার ক্রিকেটাররা।
এবার বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত খেলা চার ম্যাচে বাউন্সি ও স্পোর্টিং উইকেটে কতটা অসহায় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সেটা বেশ লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিশ্বকাপের এমন স্পোর্টিং উইকেটে নিজেদের ৪ ম্যাচে একটাতেও ৩০০ রান করতে পারেনি ♔সাকিব আল হাসানের দল। এই ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলতে দেশের মাটিতে স্পোর্ট🐠িং উইকেটে খেলার দরকার বলে মনে করছেন বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
ভারতের বিপক্ষে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাট করে পুনের স্পোর্টিং উইকেটে বাংলাদেশ টেনেটুনে আড়াইশ রান পার করে। জবাবে ভারত দেখাই ফ্ল্যাট উইকেটে কীভাবে ব্যাট করতে হয়। টাইগারদের দেওয়া ২৫৭ রানের লক্ষ্যে ৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে ম্যান ইন ব্লুরা। ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচে বাংলাদেশের নেতৃত্বের দায়িত্বে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাই তিনি ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানান দেশের মাটিতে ভালো উইকেটে খেলার কথা। শান্ত বলেন, “আমার মনে হয় আমাদের ভালো উইকেটে খেলা উচিত। ভালো উইকেটে অনুশীলন করা উচিত। এরকম স্♏পোর্টিং উইকেটে, যে অভ্যাসটা আমাদের তুলনামূলক কম। এখানে আসলে স্কিলের থেকে মানসিক দিকটাই গুরুত্বপূর্ণ। ওই দায়িত্বটা নেওয়া উচিত, কারণ এ ধরনের বোলারদের সামলানোর স্কিল সবারই আছে। তাই এই জায়গায় যদি আমরা একটু নজর দেই,ಌ তাহলে সামনে এই ভুল আর হবে না।”
বাংলাদেশের যে ওপেনিংয়ে সমস্যা ছিল সেটা এই ম্যাচে দেখা যায়নি। টাইগার দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম দুই জনই হাফ সেঞ্চুরির করে দলকে ভালো শুরু এনে দেন। তার পরও খুশি না অধিনায়✨ক শান্ত ও দলের ব্যাটাররা কারণ তার মতে এই দুই জনের এক জনের ইনিংস অন্তত তিন অঙ্কে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।
শান্ত বলেন, “আমাদের দলে কোনো ব্যাটারই ৫০ কিংবা ১০০তে খুশি না, যদি না সেটা দলের কাজে আসে। প্রত্যেকটা ব্যাটারই তা জানে💃 ও তারা এটা নিয়ে কথা বলে। আমি নিশ্চিত তান♎জিদ তামিম ও লিটনও তাদের ইনিংস নিয়ে খুশি না। কারণ বড় বড় দলের ব্যাটাররা এই ফিফটি-সেঞ্চুরিকে ১২০ বা ১৩০-এ পরিণত করে। সবাই এটা নিয়ে চিন্তিত এবং সবাই এটা নিয়ে কাজও করে।”