নেভার গিভ আপ; যার বাংলা অর্থ, কখনো হাল ছেড়ো না! এই বিখ্যাত ইংরেজি উক্তিটির ভাল⛄ো উদাহরণ হতে পারেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শꦅামি। তিনি দেখিয়েছেন জীবনের শত বাধা পেরিয়ে কীভাবে ফিরে আসতে হয়। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতকে ফাইনালে তুলতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বল হাতে একাই লড়েছেন। কিউইদের ১০ উইকেটের মধ্যে ৭টি নিয়েছেন এই পেসার। যেটা বিশ্বকাপে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ উইকেট।
এবারের বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেটাররা আছেন দারুণ ছন্দে। ছন্দে আছেন মোহাম্মদ শামিও। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে বল হাতে উড়ছেন এই পেসার। অথচ কত চড়াই উতরাই পেরিয়ে ভারতের নীল𒀰 জার্সিটা গায়ে চাপিয়ে ২২ গজে দাপট দেখাচ্ছেন। কোনো ম্যাচে পারফরম্যান্সে একটু ভাটা পড়লেই বিদ্রূপ করা হতো ‘পাকিস্তানি’ বলে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারার পর দেওয়া হয়েছিল ‘বেইমান’ আর ‘বিশ্বাসঘাতক’ উপাধি। দূর থেকে দর্শকরা না হয় বোঝেনি, বুকে মাথা রেখেও তাকে বুঝতে পারেননি স🦩্ত্রী হাসিন জাহান।
পারিবারিক কলহে এখন আলাদা বসবাস করছেন হাসিন-শামি দম্পতি। এরপরও হাসিন থেমে থাকেনি, শামির বিরুদ্ধে অত্যাচার, বিশ্বাসভঙ্গ ও ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে আদালতে মামলাও ঠুকেছেন। স্ত্রীর করা এইসব মামলায় ক্যারিয়ারও শেষ হওয়ার মতো হয়েছিল। তিনবার আত্মহত্যা করতে গিয়ে ফিরে এসেছেন শামি। তবে অদম্য শক্তিতে ভরপুর এই পেসার দমে যাননি। মাঠের বাইরের সব চাপ দূরে ঠেলে তিনি পারফর্ম করে গেছেন। ♍পারফর্ম করেই দর্শকদের মন জয় করছেন।
ট♕িম কম্বিশনের ফাঁদে পড়ে ম্যাচের পর ম্যাচ বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে এই পেসারকে। বিশ্বকাপেও শꦑুরুর ৪ ম্যাচ বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে শামিকে। চার ম্যাচ বেঞ্চে কাটিয়েও সবার ওপরে নাম তার। হার্দিক পান্ডিয়ার চোটের কারণে লিগ পর্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেই ৫ উইকেট শিকার শামির। এরপর ছয় ম্যাচেই নিয়েছেন ২৩ উইকেট। ৫ উইকেট নিয়েছেন তিন তিনবার।
এক আসরে তিনবার পাঁচ উইকেট, যা এক টুর্নামেন্টে যেকোনো বোলারের জন্য সর্বোচ্চ। আরও একট রেকর্ডের হাতছানিও আছে তার সামনে। এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের তালিকায় শামি আছেন তৃতীয় স্থানে। ফাইনালে🦋 ৪ উইকেট নিতে পারলে মিচেল স্টার্কের ২০১৯ বিশ্বকাপের ২৭ উইকেটের রেকর্ডটাও ভেঙে ফেলবেন।
একটা জায়গায় স্টার্ককে ছাড়িয়ে গেছেন ইতোমধ্যেই। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিব♚ার ৫ বা তার চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ শামি, মোট ৪ বার। যেখানে মিচেল স্টার্ক নিয়েছেন তিনবার। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুত পঞ্চাশ উইকেট নেওয়ার দৌড়েও পেছনে ফেলেছেন স্টার্ককে। শামি যা করেছেন ১৭ ম্যাচে, স্টার্কের ম্যাচ লেগেছিল ১৯টি।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৭ রানে ৭ উই🧸কেট নেন শামি। যা বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই পঞ্চম সেরা বোলিং। আর বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে প্রথমবার এমন ইতিহাসের সাক্ষী হলো ক্রিকেট বিশ্ব। সেই সঙ্গে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ওয়ানডেতে সাত উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছেন শামি।