• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


দেনমোহরের টাকা পেয়েই পালালেন মহিলা লীগ নেত্রী, দিলেন তালাকের নোটিশও


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম
দেনমোহরের টাকা পেয়েই পালালেন মহিলা লীগ নেত্রী, দিলেন তালাকের নোটিশও
জেলার মানচিত্র

বিয়ের পর দেনমোহরের টাকা নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে তামান্না আক্তার ফেন্সি🤪 (৩১) নামের রাজশাহীর এক যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া সম্প্রতি তালাকের নোটিশও পাঠিয়েছে🌊ন তিনি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি ২৯ নভেম্বর নগরের চন্দ্রিমা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভুক্তꦯভোগী ব্যক্তির নাম মোস্তাফিজুর রহমান (৫৮)। তিনি নগরের পদ্মা আবাসিকের বাসিন্দা। গ্রামের বাড়ি নওগাঁ।

অভিযুক্ত তামান্না আক্তার ফেন্সির বাড়ি নগরের মেহেরচণ্ডি পূর্বপাড়ায়। তিনি নগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড যুব মহিলা লীগের নেত্রী। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের মশক শাখার মাঠকর্মী হিসেবে চা𒆙করি করেন তিনি। রাজশাহী মহানগর যুব মহিলা লীগের প্রতিটি কর্মসূচিতেই সামনের সারিতে দেখা💛 যেত তামান্নাকে।

মোস্তাফিজুর রহমান রহমান জানান, তিনি বিবাহিত। তার স্💧ত্রী অসুস্থ। তাই তিনি দ্বিতীয় বিয়ের কথা ভাবছিলেন। তামান্না আক্তারেরও বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় ১৪ বছর আগে। ১৩ বছর বয়সী তার একটি মেয়ে আছে। বছর দুয়েক আগে পরিচয়ের পর তামান্নাকে ভালো লেগেছিল তার। এ জন্য তিনি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তামান্না তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

মোস্তাফিজুর দাবি করেন, একবছর আগেই বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি। তখন তামান্নাকে বিয়ের বাজার করতে এক লাখ টাকা দিয়েছিলেন। ওই সময় টাকা নেওয়ার পর বিয়ে কর꧙েননি তামান্না। এরপর বছরখানেক দুজনের কোনো যোগাযোগ ছিল না। কিছুদিন আগে আবার যোগাযোগ শুরু করেন তিনি। বিয়ে করবেন ভেবে তার মনও নরম হয়ে যায়।

তামান্না তাকে জানান🅰, তিনি বিয়ে করবেন যদি তাকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এ টাকায় তামান্না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন বাজারে দোকান করতে🍸 চান। তামান্নার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান মোস্তাফিজুর।

এরপর গত ২০ নভেম্বর রাতে তামান্না তাকে মেহেরচন্ডি এলাকার একটি কাজী অফিসে নিয়ে যান। সেখানে মোস্তাফিজুর নগদ ৩ লাখ ৩ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শহরের একটি তিন তারকা হোটেলে ফুলশয্যার কথা⛎ ছিল তাদের। কিন্তু তামান্না দেনমোহরের টাকা বাড়িতে রেখে আসার কথা বলে পালিয়ে যান।

এরপর সম্প্ꦦ🍃রতি তামান্নার পাঠানো তালাকের নোটিশ হাতে পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তামান্না এই তালাকে স্বাক্ষর করেছেন বিয়ের চার দিন পর, ২৪ নভেম্বর।

মোস্তাফিজুꦬর রহমান বলেন, “এমন প্রতারক মেয়ের সঙ্গে আমি আর সংসার করতে চাই না। আমি সরল মনে ৫৮ বছর বয়সে তাকে বℱিয়ে করেছিলাম। কিন্তু সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সে জন্য তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি।”

যুব মহিলা লীগ নেত্রী তামান্না আক্তার ফেন্সি বলেন, “বিয়ের পরই আমাকে দুই কাঠা জমি দেওয়ার কথা ছিল। ওই জমিতে একটি ফ্ল্যাটবাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ারও কথা ছিল। 🍒আর আমার ভবিষ্যতের জন্য ব্যাংকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার মৌখিক প্রতিশ্রুতি ছিল। এসবের কিছুই দেননি মোস্তাফিজুর। তিনি আমাকে বাড়িও নিয়ে যাবেন না। আমার মেয়ের দায়িত্ব নেবেন না। তাই তার সঙ্গে আমার সংসার করা সম্ভব হয়নি।”

নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, “তামান্নার সঙ্গে কথা বলেছি। কী কী না কি দেওয়ার কথা ছিল, মোস্তাফিজুর সেসব দেননি বলে তালাক দিয়েছেন বলে তামান্না আমাদের জানিয়েছেন। এখন বিষয়টা তো কোর্টের ব্যাপার। মোস্তাফিজুর আমাদের কাছে একটা অভিযোগ দিয়েജছেন। আমি একজন এএসআইকে তদন্ত করতে দিয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার মতো হলে আমরা নেব।”

সূত্র : আজকের পত্রিকা

Link copied!