পাকিস্তান ও ভারত নিজেদের দাবিতে অটুট। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে বিপাকে পড়েছে আইসিসি। কবে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি? পাকিস্তানেই কি হবে প্রতিযোগিতা? এই সব প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা।
শনিবার আইসিসির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তা আরও পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে এখনও কোনও সমাধান সূত্র বার হল না। শনিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের প্রশ্নে চুপ থেকেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি।
শনিবার দুবাইয়ে আইসিসির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই বৈঠকে থাকার কথা ছিল জয় শাহের। ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিতেন নকভি। কিন্তু বৈঠক হয়নি। পরে লাহোরে দেশবাসীকে নকভি জানান, ‘শনিবার একটা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেটা হয়নি। কবে সেই বৈঠক হবে তা জানতে পারলে সকলকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
তারপরই প্রশ্ন ওঠে, পাকিস্তানেই কি পুরো প্রতিযোগিতা হবে? চুপ থাকেন নকভি। সরাসরি কোনও জবাব দিতে পারেননি তিনি। খানিকটা ঘুরিয়ে পাকিস্তা্ন ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আলোচনা চলছে। তাই এখন কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য আমরা সব কিছু করছি। দেশবাসীকে নিরাশ করব না।’ নকভি ইতিবাচক কথা বললেও বোঝা যাচ্ছে চাপে রয়েছেন তিনি।
আগামী বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এখনও আয়োজক দেশের নামে সিলমোহর পড়েনি। ফলে সূচিও প্রকাশ করতে পারেনি আইসিসি।
ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানে তারা খেলতে যাবে না। আবার পাকিস্তান জানায়, তাদের দেশেই পুরো প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে চায় তারা। এমন পরিস্থিতিতে আইসিসি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়েছে, হাইব্রিড মডেল ছাড়া কোনও গতি নেই। অর্থাৎ, ভারত তাদের ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলবে। বাকি সব ম্যাচ পাকিস্তানে হবে। জানা গিয়েছে, হাইব্রিড মডেল মেনে নিলেও পাল্টা কিছু শর্ত দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ফলে এই সমস্যা এখনও মিটছে না।
ধোঁয়াশার মাঝেই আইসিরি চেয়ারম্যান হয়েছেন শাহ। ফলে এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তার। গত বৃহস্পতিবার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। পিছিয়ে তা শনিবার করে দেওয়া হয়েছিল। শনিবারও সেই বৈঠক হয়নি। কবে হবে তাও জানা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে এই প্রতিযোগিতার ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা আরও বাড়ছে।