এক যুগ পর তৃতী🙈য় শিরোপা ঘরে তুলার হাতছানি ভারতের সামনে। সﷺবশেষ ঘরের মাঠে ২০১১ সালে নিজেদের মাটিতে মাহিন্দ্রা সিং ধোনির হাত ধরে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলে ম্যান ইন ব্লুরা। আরও একটি বিশ্বকাপ ঘরের মাঠে আরও একবার শিরোপা জয়ের সুযোগ ভারতের সামনে। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলেই রোহিত শর্মার হাত ধরে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতবে ভারত। তারা এই শিরোপা জিততে অজিদের বিপক্ষে রোববার (১৯ নভেম্বর) আহমেদাবাদে ফাইনালেও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত।
ভারতের ব্যাটিংয়ে শুরুতে উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়ার দায়িত্বটি থাকে দলটার অধিনায়কের। কারণ রোহিতই ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে আসেন। আর শুরুতেই তিনি ঝড়ো ব্যাটিং করে পরবর্তী সতীর্থ ব্যাটারদের কাজ সহজ করে দিয়ে যান। রোহিত এবারের আসরে আছেন দারুণ ছন্দে। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন পঞ্চম স্থানে। রোহিত ১০ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে ১২৪.১৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে ৫৫০ রান করেছেন। তার এই পরিꦆসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায় এবারের বিশ্বকাপে তিনি কতটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছেন।
ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং নিয়ে রোহিত বলেন, “আমি বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই একটা নির্দিষ্ট ধরনে খেলতে চেয়েছি। আমি জানতাম না, এতে সফল হব কি হব না। দুটির জন্যই আমার পরিকল্পনা ছিল, যে সফল হলে পরের ম্যাচে কীভাবে খেলব অথবা সফল না হলে পরের ম্যাচে কীভ𒉰াবে খেলব। আমরা যারা ইনিংস সূচনা করি, উইকেটে গিয়ে নিজেকে মেলে ধরার আমাদের একটা স্বাধীনতা থাকে। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি হয়ত দেখেছেন। শুরুতে উইকেট হারানোয় আমাকে খেলার ধরন কিছুটা বদলাতে হয়েছে। আমি এটির জন্যও প্রস্তুত।”
এরপর অবশ্য বাস্তবতাও স্বীকার করে নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক, বলেছেন পরিস্থিতি বুঝে খেলার কথা। রোহিত বলেন, “অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের এটাই করা উচিত। শুধু একভাবেই খেলার চিন্তা নিয়ে বসে থাকলে হবে না। আপনার সামনে থাকা পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনꩵে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। তো আমি এখন দলের জন্য যে দায়িত্ব সঠিক মনে হয়, সেটি করার জন্য প্রস্তুত। একে ঘিরেই আমি আমার প্রস্তুতি ও কৌশল সাজিয়েছি। ভালো পিচে খেলা হলে আপনি কখনও কখনও বুঝতে পারেন, পিচটি ভালো এবং বোলারদের বিপক্ষে সুযোগ নেওয়া যাবে। আবার কখনও কখনও বুঝতে পারেন, পিচে বলের কিছুটা মুভমেন্ট আছে, তখন সেই অনুযায়ী নিজের ভাবনা বুঝতে হব🅠ে।”
চলমান বিশ্বকাপে যে ব্র্যানꦺ্ড মেনে ভারত খেলছে, সেটি পরেও ধরে রাখার প্রত্যয় রোহ💛িতের কণ্ঠে। ভারতীয় অধিনায়ক বলেন,“আমরা যে আবহ তৈরি করেছি, খুব স্পেশাল। যত দিন সম্ভব, আমরা এটি ধরে রাখতে চাই এবং বাইরে কী হচ্ছে না হচ্ছে, সেসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। কারও ব্যাট থেকে যদি রান নাও আসে, আমরা চাই না সে বিশ্বকাপ শুরুর আগে যেমন ছিল, সেই চিন্তার ধরন বদলে ফেলুক। তো এই বিষয়গুলো সবার সঙ্গে পরিষ্কার। আমার মনে হয়, যে দশ ম্যাচ আমরা খেলেছি, এই ভাবনায় সোজাসাপটা ছিলাম।”
ভারত এবারের বিশ্বকাপে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে দারুণ করছে। ভারতের পেসার ও স্পিনাররা বল হাতে দারুণ ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে দলের জয়ে অবদান রাখছে। মাত্র ৬ ম্যাচে ২৩ উইকেট নিয়ে 🧜সর্বোচ্চ উইকেটে শিকারি মোহাম্মদ শামি। এছাড়া পেসার জসপ্রীত বুমরাহ ১৮ এবং মোহাম্মদ সিরাজ নিয়েছেন ১৩ উইকেট। দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদীপ যাদব মিলে আরও ৩১ উইকেট নিয়েছেন। সে হিসেবে বোলারদের কথাও নতুন করে বলতে ভুল করেননি রোহিত শর্মা। এই ব্যাটার বলেন, “এই টুর্নামেন্টে বোলাররা আমাদের জন্য খুব ভালো কাজ করছে। টুর্নামেন্টের শুরুতে আমরা প্রথম চার বা পাঁচ ম্যাচে রান তাড়া করেছিলাম। সে সময় ভারতের কন্ডিশনে প্রতিপক্ষকে তিনশ রানের নিচে থামিয়ে রাখা দারুণ একটি ব্যাপার। এটা সহজ কিছু নয়। তবে আমাদের পেসার ও স্পিনাররা সেটা নিখুঁতভাবে করেছে।”