এখন তো আর সেই যৌবনকাল নেই। চেহারায় বয়সের ছাপ স্পষ্ট। বেশ খানিকটা রোগাও হয়েছেন ‘ব্লেড রানার’ নামে পরিচিত অস্কার পিস্টোরিয়াস। কিন্তু চোখমুখে কোনও অনুতাপ নেই। উল্টে হাসি মুখে রা🧔স্তায় হাঁটছেন তিনি। ১১ বছর আগে বান্ধবী রিভা স্টিনক্যাম্পকে খুন কꦇরা পেশাদার স্প্রিন্টার পিস্টোরিয়াস জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তার পর প্রথম বার প্রকাশ্যে দেখা গেল তাকে।
রিভার পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের দাবি, পিস্টোরিয়াসের মধ্যে দুঃখের লেশ🌱মাত্র নেই। যেন সব কিছু একেবা🃏রে স্বাভাবিক রয়েছে।
রিভার আইনজীবী তানিয়া কোয়েন বলেন, ‘জুনের (রিভার൲ মা) জন্য আমার খারাপ লাগছে। ওদের জীবনটাও তো যাবজ্জীবন কারাবাসের মতো হয়ে গিয়েছে। মেয়েকে তো কোনও দিন ওরা দেখতে পাবে না। কিন্তু পিস্টোরিয়াসকে দেখে ওরা আরও দুঃখ পাচ্ছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিভার এক বান্ধবী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘পিস্টোরিয়াসের হাসি দেখে মনে হচ্ছে কিছুই হয়নি। আমি পারলে ওর হাসি মুছ♎ে দিতাম। ও কী ভাবে রাতে ঘুমায় সেটা ভাবলে🙈 আমার অবাক লাগে।’
পিস্টোরিয়াস পরিচিত ছিলেন ‘ব্লেড রানার’ নামে। কার্বন ফাইবারের পা লাগিয়ে দৌড়তেন তিনি। সেই কারণেই এই নামে পরিচয় হয়েছিল তার। কিন্তু ২০১৩ সালে বান্ধবীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল পিস্টোরিয়াসের বিরুꦉদ্ধে। ২৯ বছর বয়সি বান্ধবী রিভাকে চারটি গুলি করেছিলেন তিনি ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র দিন।
পরে পিস্টোরিয়াস দাবি করেছিলেন, যার উদ্দেশে গুলি চালিয়েছিলেন তিনি যে নিজের বান্ধবী বুঝতে পারেননি। কোনও চোর ভেবে সে দিকে গুলি চালিয়েছিলেন। কিন্তু আদালতে তার🧸 যুক্তি খাটেনি। ২০১৬ সালে দক্🦋ষিণ আফ্রিকার আদালত তাকে ১৩ বছরের কারাবাস দেয়।
সম্প্রতি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন পিস্টোরিয়াস। রিভার মা পিস্টো🌳রিয়াসের জামিনের বিরোধিতা করেননি। কিন্তু প্যারোল বোর্ডকে পাঠানো চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, জেলে থাকাকালীন পিস্টোরিয়াসের রাগ সংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসা হয়েছে কি না।