তৃতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ৫৯ রানে হারিয়ে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠেছে পাকিস্তান। আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করার মাধ্যমে ১১৮ রেটিং নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে টপকে র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমে উঠে এসেছে বাবর আজমের দল। ২০২৩ সালের মে মাসে প্রথমবারের মত ওয়ানডে র্যাঙ্ಌকিংয়ে শীর্ষে ওঠে পাকিস্তান। তবে সেবার তারা মাত্র দুইদিন সেই পজিশনে টিকতে পেরেছিল। এরপর নেমে যেতে হয় দ্বিতীয় স্থানে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) ক🌃লোম্বর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে পাকিস্তান আগে ব𝓡্যাট করে ৮ উইকেটে ২৬৮ রান তোলে। জবাবে সাদাব, ফাহিমদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে ২০৯ রানে অল আউট করে দেয়। এতে বাবর আজমের দল ৩-০ তে সিরিজ জিতে নেয়।
এদিন পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে নেমে ফখর জামান, ইমাম-উল-হকরা ধীরগতিতে শুরু করেন। পাকিস্তান প্রথম ৩০ ওভারে ২ উইকেটে তোলে মাত্র ১০৩ রান। তবে পরের ২০ ওভা🎀রে করে ১৮৯ রান। ধীরগতিতে শুরু করলেও রানের গতি বাড়িয়ে দেন অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মাদ রিজওয়ান। তারা ১১০ রানের জুটি গড়েন। এই জুটি ভাঙে বাবর ৬০ রানে আউট হলে। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রিজওয়ানও। তিনি ৬৭ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন। এরপর মোহাম্মাদ নেওয়াজের ৩০ রান এবং আগা সাল🧔মানের ব্যাট থেকে অপরাজিত ৩৮* রান আসে। যার কল্যাণে পাকিস্তান নির্ধারিত ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৬৯ রানে টার্গেট ছুড়ে দেন আফগানদের সামনে।
জবাবে আফগানিস্তানের হয়ে শুরুতে ব্যক্তিগত ৫ রান করে ফিরে যান রহমানুল্লাহ গুরবাজ। এরপর ইব্রাহিম জাদরান রানের খাতা না খুলতেই আউট হন ফাহিম আশরাফের বলে। পাকিস্তানের পেস ও স্পিন বোলিংয়ের সামনে নিয়মিত বিরতিতে উই🌟কেট হারাতে থাকেন রাশিদ, নবীরা। তারা ৯৭ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর মুজিব উর রহমান এসে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান পাকিস্তানি বোলারদের ওপর। শাহীন আফ্রিদির বলে আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে ৫ চার ও ৫ ছক্কায় করেন ৬৪ রান। এর আগে কখনও ক্যারিয়ারে ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। মুজিবের ৬৭ রানের ইনিংস শুধু আফগানদের হারের ব্যবধান কমিয়েছে। ৪৮ ওভার ৪ বলেই ২০৯ রানে গুটিয়ে যায় আফগানদের ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন সাদাব খান।