এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বড় জয় তুলে নিল পাক🍌িস্তান। মুলতানে তারা নেপালকে হারাল ২৩৮ রানে। পাকিস্তানের দেওয়া ৩৪৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২৩ ওভার ৪ বলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে নেপাল করে ১০৪ রান। এর আগে, বাবর আজম ও ইফতেখার আহমেদের দারুণ শতকে ৬ উইকেটে ৩৪২ রা♓ন করে পাকিস্তান। বাবর ১৫১ রানে আউট হলেও ইফতেখার অপরাজিত ছিলেন ১০৯ রানে।
এদিন মুলতানে টস জিতে পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম উল হক শুরুটা করেন 💖দেখে শুনে। তবে পাঁচ বলের ব্যবধানে পাকিস্তান হারায় তাদের দুই ওপেনারকে। ১৪ রান করা ফখর জামানকে ফেরান করণ কেসি। ফখর দলকে ২১ রানে রেখে প্যাভিলিয়ানের পথ ধরেন। এরপর স্কোর বোর্ডে ৪ রান যোগ করতেই বিদায় নেন আরেক ওপেনার ইমাম উল হক। ৫ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাবর আজম ও উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ৮৬ রানের জুটি গড়েন। রিজওয়ান রান আউটের ফাঁদে পড়ে আউট হলে এই জুটি ভাঙে। এই উইকেটকিপারের ব🍷্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। এরপর আগা সালমানকে ৫ রানে ফিরতি পথ দেখিয়ে দেন সন্দ্বীপ লামিচানে।
সালমানের বিদায়ে বাবরকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন ইফতেখার আহমেদ। পাকিস্তানের পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ১৩১ বলে ২১৪ রান। দুইজনই তুলে নেন এশিয়া কাপের প্রথম সেঞ্চুরি। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর ১৩১ বলে ১৫১ রান করে সোমপাল কামির বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়ানের পথ ধরেন। অন্যপ্রান্তে ইখফতেখার ৭১ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ဣ১০৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষ হলে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৩৪২ রান। নেপালের হয়ে সোমপাল কামী ১০ ওভারে ৮৫ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন।
জবাবে বড় রানে টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় নেপাল। ১৪ রান তুলতেই তারা ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর পাক বোলারদের উপর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন সোমপাল কামি এবং আরিফ শেখ। তারা চতুর্থ উইকেট জুটিতে করেন ৫৯ রান। আরিফের বিদায়ে এই জুটি ভাঙে। তিনি ২৬ রান করে হারিস রউফের বলে বোল্ড আউট হন। আরিফের বিদায়ের পর আবারও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নেপাল। শেষ পর্যন্ত ২৩ ওভার ৪ বলে তাদে🍷র ইনিংস থেমে যায়। লামিচানেরা ১০ উইকেটে করেন ১০৪ রান। এতে পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে ২৩৮ রানের বিশাল জয় পায়। পাকিস্তানের হয়ে সাদাব খান ২৭ রান খরচে ৪ উইকেট শিকার করেন।