সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরের প্রথম সেমিফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত কুয়েতের আক্রমণভাগকে আটকে🐷 রাখলেও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে আর নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের আমন্ত্রিত দলটির কাছে হারল ১-০ গোল ব্যবধানে। তাতেই বিদায় নিতে হলো হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যদের।
ভারতের শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়াসে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরুতে বাংলাদেশ ইতিবাচক ফুটবল খেললেও পুরো ম্যাচে বল দখল ও আক্রমণে একচ্ছ♐ত্র আধিপত্য বিস্তার করে কুয়েত। ম্যাচের ৭২ শতাংশ সময় নিজেদের অধীনে বল ধরে রাখে কুয়েত। আর বাংলাদেশের গোলবারে মোট শট নিয়েছে ১১টি।
অন্যদিকে পুরো ম্যাচে কেবল ২৮ শতাংশ সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে বল ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। আক্রমণেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি লাল🐻-সবুজের প্রতিনিধিত্বকারীরা। কুয়েতের গোলবার বরাবর মোট শট নিয়েছে মাত্র তিনটি। কিন্তু পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা।
এর আগে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচের স্কোরলাইন গোলশূন্য ড্র💎 হয়। ফলে ফাইনালে ওঠার লড়াইটি অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়িয়েছেছিলো।
উভয় অর্ধে উভয় দল একাধিক সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেনি। তবে কুয়েতের মতো শক্তিশাল♚ী দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ছয়টি সুযোগ পেয়ে তার 🍸একটিও জালে জড়াতে পারেনি।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় মিনিটেই ডানদিক দিয়ে আক্রমণে ওঠেন রাকিব হোসেন। তিনি বাড়িয়ে দেন ডি বক্সের মধ্যে থাকা মোরসালিনকে। বল পেয়ে যায় মোরসালিন। তার সামনে ছিলেন কেবল কুয়েতের গোলরক্ষক আব্দুলরহমান। তাকে একা পেয়েও গোল করত♌ে পারেননি মোরসালিন। তিনি সরাসরি মেরে দেন গোলরক্ষের গায়ে। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজের মতো উরু দিয়ে বল ঠেকিয়ে দেন আব্দুলরহমান।
সপ্তম মিনিটে গোলের দারুণ স༒ুযোগ পেয়েছিল কুয়েতও। এ সময় জটলার মধ্য থেকে নেওয়া শট গোললাইনের সামনে থেকে ক্লিয়ার করেন বাংলাদেশের ঈসা ফয়সাল।
এরপর ৩১ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশ আরও একটি সুযোগ তৈরি করেছিল। এ সময় বামদিক থেকে রাকিবকে উদ্দেশ্য করে🦹 মোরসালিন বল বাড়িয়ে দেন ডি বক্সের মধ্যে। কিন্তু কুয়েতের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা রাকিবকে শট নেওয়ার সুযোগ দেননি। রাকিব সুযোগ পেলে হয়তো গোলের দেখা পেয়ে যেতে পারতেন।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কঠিন প্রতিপক্ষই পায় বাংলাদেশ দল। র্যাংকিংয়ে ঢের এগিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। আগের মুখোমুখি দুই লড়াইয়ের দুটিতেই তাদের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ।