এই বছরটা প্যাট কামিন্সের জন্য সেরা বছর বলাই যায়। প্রথমে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ জয়। তারপর মর্যাদার অ্যাশেজ ট♋্রফি জিতেছে অঝিরা তার নেতৃত্বে। আর সবশেষ ভারতের মাটিতে উড়তে থাকা ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় অস্ট্রেলিয়ার সেটাও তার নেতৃত্বে। তবে, এই অস্ট্রেলিয়া🐓য় লিগ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বসেছিল। তারপরই কোন এক জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় বদলে গেছে দলটি। জিততে থাকে একের পর এক ম্যাচ। আর সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখল ফাইনালে। যেখানে দারুণ ছন্দে থাকা ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ জিতল অজিরা।
রোববারের ফাইনাল শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ℱঅস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেন, “মনে হচ্ছে শেষের জন্যই আমরা সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলাম। কয়েকজন বড় ম্যাচের ক্রিকেটার নিজেদের মেলে ধরল টুর্নামেন্টজুড়ে বেশিরভাগ সময় আমরা আগে ব্যাটিং করেছি। আজ ভাবলাম, রান তাড়া করার জন্য রাতটা বেশ ভালো। আমাদের মনে হয়েছে, পরের দিকে ব্যাটিং করাটা সহজ হবে। আমরা যতোটা ভেবেছিলাম, পিচ ততটা স্পিন সহায়ক ছিলো না। ছেলেরা ছিল দুর্দান্ত। সবাই তারা 🌃মাঠে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে। ”
ব্যাটিং ও বোলিংয়ের পাশাপাশি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিং ছিল দুর্দান্ত। এমন বোলিং-ফিল্ডিংয়ের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসের পরই জয়ের ℱআগাম সুবাস পাচ্ছিলেন কামিন্স। অজি অধিনায়ক বলেন, “ফিল্ডিংয়ে সবাই ছিল মরিয়া। মূলত গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু। ছেলেরা সেদিন দুর্দান্ত ছিল। তাদেরকে ২৪০ রানের মধ্𝕴যে রাখতে পেরে খুব খুশি ছিলাম, সত্যি বলতে তিনশ`র নিচে যে কোনো লক্ষ্যই ভালো। আমার মনে হয়েছে, এই উইকেটে ৩০০ হয়ত কঠিন হবে, তবে তাড়া করা সম্ভব। ২৪০ রান দেখে আমরা খুব খুশি ছিলাম।”
দর্শকদের চুপ করানো নিয়ে কামিন্স বলেন, “এটি দারুণ ছিল। বোলিং ইনিংসের সময় বেশ কয়েকবার পুরো গ্যালারি নীরব হꦛতে দেখে🦹 আমি খুব খুশি ছিলাম। কয়েকবার তারা অনেক চিৎকার করেছে এবং এটিই সত্যিই অনেক বেশি ছিল।”
এ সময় অজি অধিনায়ক আরও বলেন, “দলে আমি তাদের একজন, যারা স্নায়ু চাপে𒊎 ভুগছিলাম। কিন্তু হেড এবং মার্নাস খেলাটাকে এগিয়ে নিয়েছে। যখন সে (হেড) হাত ভেঙে ফেলেছিল নির্𝄹বাচকেরা তখনো ওপর ভরসা করেছিল। এটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কাজে দিয়েছে। তার ব্যাটিং দেখা দারুণ ব্যাপার।”
বছরটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য সেরা একটা বছর। অ্যাশেজ, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ ট্রফি সব জিতেছেন। এবার জিতল বিশ্বকাপ। কোনটাকে বেশি এগিয়ে রাখবেন? এমন প্রশ্নে কামিন্স বললেন বিশ্বসেরা হওয়াটাই তার কাছে সেরা সাফল্য। তিনি বলেন, “চারপাশে তাক🀅িয়ে ভাবছিলাম, যা-ই ঘটুক না কেন মুহূর্তটি বিশেষ। বিশ্বকাপ জেতার পণ করেই এগিয়েছিলাম। এই বছরটি দীর্ঘসময় ধরে মনে থাকবে। শীতকালে অনেক সাফল্য পেয়েছি আমরা এবং বিশ্বকাপটা সবকিছুর ঊর্ধ্বে।”