এশিয়ান গেমসে অংশ নিতে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চীনের হাংজুর বিমান ধরবেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২৩ ফুটবল দল। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে এশিয়াড শুরু হলেও বাংলাদেশ ফুটবল দলকে মাঠে নামতে হবে আগেই। ১৯ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের এশিয়াড মিশন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরার অধিনে অনূর্ধ্ব–২৩ ফুটবল দল যাচ্ছে হাংজুতে। তাই শুক্রবার তার অধিনে দেশের মাটিতে শেষবারের মতো অনুশীলন করে এশিয়াডেဣ অংশ নিতে যাওয়া ফুটবলাররা। এদিন অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোচ কাবরেরা জানান এশিয়ান গেমস চ্যালেঞ্জ൲িং হবে। এদিন তার সঙ্গে ছিলেন টিম ম্যানেজার বিজন বড়ুয়া ও এশিয়ান গেমসের বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক রহমত মিয়াও।
এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ফুটবল দলের সেরা সাফল্য ২০১৮ সালে জাকার্♎তার টুর্নামেন্টে। সেবার প্রথমবারের মতো উঠেছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। উজবেকিস্তান, কাতার আর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপে বাংলাদেশ খেলেছিল দুর্দান্ত। জামাল ভূঁইয়ার গোলে কাতারের মতো দ🍷লকে হারিয়েছিল। ড্র করেছিল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে।
দ্বিতীয় রাউন্ডে উত্তর কোরিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষেও লড়াই করে হেরেছিল বাংলাদেশ ৩–১ গোলে। এবার এশিয়াড ফুটবলের মিশনে কাবরেরার শীর্ষদের 🧸প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে চীন, ভারত ও মিয়ানমার। এই তিনটি দলই শক্তিশালী মানছেন কোচ। তাদের সামনের দিনগুলো চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন কাবরেরা। বাংলাদেশ দলের কোচ বলেন, “এশিয়াডে অংশ নিতে পেরে খেলোয়াড়েরা রোমাঞ্চিত। এটা এশিয়ার বড় একটা প্রতিযোগিতা। আমরা খেলবও খুবই শক্তিশালী তিনটি দলের বিপক্ষে–চীন, ভারত ও মিয়ানমার। আমাদের সামনে খুব রোমাঞ্চকর একটা সপ্তাহ অপেক্ষা করছে। সেই সঙ্গে চ্যালেঞ্জিং।”
ভালো খেলার লক্ষ্য নিয়ে হাংজুতে যাচ্ছেন কাবরেরা। এশিয়াডে ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চান এই কোচ। কাবরেরা বলেন,ꦗ “আমরা প্রতিটি ম্যাচ নিয়ে আলাদা করে ভাবছি। ম্যাচ ধরে ধরে এগিয়ে যেতে চাই। আলাদা লক্ষ্য যদি বলেন, সেটি অবশ্যই ভালো খেলা। লড়াই 𒅌করা।”
২০১৮ সালে জাকার্তা এশিয়াডের বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন রহমত মিয়া। তার হাতে এবার দলের নেতৃ𒁏ত্বের দায়িত্ব থাকছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেন তাদের লক্ষ্য থাকবে এশিয়ান গেমসে ভালো করার। রহমত বলেন, “গত এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ দলটা বলতে গেলে জাতীয় দলই ছিল। এবার খেলোয়াড়েরা তুলনামূলক নতুন। গতবার আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছি। এবার লক্ষ্য থাকবে ভালো করার।”
গ্রুপের তিনটি দলের মধ্যে মায়ানমার তুলনামূল🦄ক কম শক্তিশালী। তাই তাদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে চান বাংলাদেশের মাস্টার মাইন্ড কাবরেরা। কোচ বলেন, “তিনটি দলই শক্তিশালী। তবে আমরা প্রথম ম্যাচটি নিয়ে ভাবছি। সেটি মিয়ানমারের বিপক্ষে। চীন আর ভারতের তুলনায় মিয়ানমার কিছুটা বোধহয় পিছিয়ে আছে। আমরা তাই প্রথম ম্যাচে মিয়ানমারের বি﷽পক্ষে পয়েন্ট পেতে চাই। জিততে পারলে খুবই ভালো হয়, সেটি তুলনামূলক শক্তিধর চীন আর ভারতের সঙ্গে আমাদের প্রেরণা দেবে।”