মাত্র কিছুদিন আগে বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তান যায়। পাকিস্তান-বাংলাদেশের দু’টি টেস্টই হয়েছে রাওয়ালপিন্ডিতে। সফরকারী দল পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছ🐷ে। কোন প্রকার নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা ঘটেনি। অথচ, ইংল্যান্ড দল পাকিস্তানে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছে।
তিন টেস্টের সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে যাবে ইংল্যান্ড। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি হিসাবে পাকিস্তানের একাধিক স্টেডিয়ামে চলছে সংস্কারের কাজ। এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্ব꧑িগ্ন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ঘরের মাঠে সিরিজ খেলার সুযোগ হারাতে পারেন শান মাসুদ, বাবর আজমরা।
আগামী ৭ অক্টোবর মুলতানে প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড। পরের দু’টি▨ টেস্ট হওয়ার কথা করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডিতে। সব স্টেডিয়ামেই এখন চলছে সংস্কারের কাজ। এই অবস্থায় তিনটি কেন্দ্রেই টেস্ট খেলতে রাজি নয় ইসিবি। সিরিজের সময় স্টেডিয়ামগুলির পরিস্থিতি ঠিক কেমন থাকবে, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য চান ইসিবি কর্মকর্তারা। কোনও স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ অসম্পূর্ণ থাকলে, সেখানে খেলতে রাজি নয় ইসিবি। তাই প্রয়োজনে পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের তিনটি টেস্টের মাঠই পরিবর্🌌তন হতে পারে।
ঘরের মাঠে সিরিজ খেলার সুযোগ হারাতে পারেন মাসুদ, বাবররা। বিকল্প হিসাবে ভাবা হচ্ꦗছে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং শ্রীলঙ্কার কথা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও দু’দেশের বোর্ড নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামও উদ্বিগ্ন। তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের স্টেডিয়ামগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, আমাদের জানা নেই। সিরিজ কোথায় খেলা হবে, তা চূড়ান্ত হওয়ার আগে দল নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আগামী দু’দিনের মধ্যে জানা গেলে সুবিধা হয়। দল নির্বাচন এবং প্♏রস্তুতি নেওয়া যাবে ঠিক ভাবে। সবটা ঠিক হওয়ার পর আমরা আলোচনা করে দল নির্বাচন করব।’
২০০৫ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান সফর করেনি ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। সে সময় পাকিস্তান ঘরের মাঠের সিরিজ়গুলি মূলত সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলেছে। ইসিবি সূত্রে খবর, এবার ম্যাকালামদের প্রথম পౠছন্দ আরব আমিরাত।