জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শহীদ নজরুল ইসলাম আবাসিক হলের একটি কক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে কক্ষ দখলে নিয়ে তালা দিয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বাকি কক্ষগুলোও দখলে নেওয়া হবে বলে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন🍸 তারা।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ শেষে শাখা ছাত্রদলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রায়হান হোসেন অপুর নেতৃত্বে 💝টিপু সুলতান রোডের শহীদ নজরুল ইসলাম হলের ১০৪ নম্বর কক্ষে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের বের করে দখল করে তালা দেন শাখা⛎ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ নজরুল ইসলাম ছাত্রাবাসে অবস্থানরত শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান। এরপর হলটিতে অবস্থান করেন বিশ্বব🔯িদ্যালয়ের কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী। তারা নিজেদের অর্থ ব্যয় করে হলটি বসবাসযোগ্য করে তোলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা গ্রুপের নেতাকর্মীরা এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের রুম থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেন। এ সময় শাখা ছাত্রদলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রায়হান হোসেন অপুর নেতৃত্বে সহসাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুর রহমান দুর্জয়, মাশফিকুর রাইন ও মনিরুজ্জামান, ১১ ব্যাচের শামীম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৭ ব্যাচের মাহমুদুল হাসান নাইম, বাংলা বিভাগের ১৮ ব্যাচের আশরাফুল, ১৭ ব্যাচের ফাইনান্স বিভাগের সৈকত মাহমুদসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্ম🌳ী হল দখল করেন। পরে ১০৪ নম্বর কক্ষটি দখলে নিয়ে তালা দেন তারা। বাকি কক্ষগুলোও ছাত্রদল দখল করবে বলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের হুমকি দেন। হলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাইরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো ঠাঁই নেই বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ১০৪ নম্বর কক্ষ𒁏 থেকে ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্꧟ষের হাফিজুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থীকে জিনিসপত্রসহ বের করে দেন।
ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী বলেন, “তারা এত বেশি অ্যাগ্র🌳েসিভ ছিল ঠান্ডা মাথায় কথা বলার পরিবেশ ছিল না। আমি সিনিয়র হলেও তারা জুনিয়র নিয়ে আমার স𒈔ঙ্গে নানা খারাপ ব্যবহার করে। আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বইখাতা বাইরে ফেলে দেয়, টেবিল, চৌকি বাইরে বের করে দেয়।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রায়হান হোসেন অপু বলেন, “রুম ফাঁকা ছিল, ওখানে কেউ ছিল না। এজন্য কয়✅েকজনকে তুলে দিয়েছি। রুম থেকে কাউকে বের করে দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। বাকি সব অভিযোগ মিথ্যা।”
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, “আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই। মাত্র ফেসবুকে এমন একটা পোস্ট দেখলাম। তবে শুনেছ🌠ি ওখানে একজন ছাত্রদলের পরিচয় দিয়ে হলটা কন্ট্রোল করে। এখন যদি আ💫সলেই ছাত্রদলের কেউ এমনটা করে থাকে তাহলে আমরা সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”