সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সাবেক 🌠সংসদ সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, “১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সালের সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার বধ্যভূমি তৈরি করেছিল। একের পর এক মানুষের জীবন কেড়ে নিয়ে যমুনা নদীতে লাশ ফেলে দিত। যমুনা নদী কথা বলতে পারে না, তাই আজও তার নীরবতা বজায় রেখেছে। তবে যদি নদী কথা বলতে পার𒉰ত, তাহলে হয়তো বলত, এই নদীতে কত লাশ ফেলা হয়েছে।”
রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা বিএনপি আয়ো♓জিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “১৯৯৬ সালের পর আওয়ামী লীগ সর🏅কার ক্ষমতায় এসে বিএনপি সমর্থকদের ♍ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। নিরীহ মানুষদের বছরের পর বছর জেলে বন্দি রেখেছে। এর বিচার সিরাজগঞ্জের মাটিতেই হবে। ক্ষমতায় থাকার সময় আওয়ামী লীগের সব অপকর্মের বিচার এখন সময়ের দাবি।”
টুকু বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর দেশের মানুষ নির্যাতিত হয়েছে। প্রতিট🐼ি মানুষ কোনো না কোনোভাবে কারাগারে বন্দি ছিল। কেউ শারীরিকভাবে কারাগারে, কেউ মানসিকভাবে। কিন্তু আল্লাহ আজ এ দেশের মানুষকে মুক্তি দিয়েছেন।”
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “শেখ হাসিনা আইন, বিচার, পুলিশ প্রশাসনসহ সব সেক্টর ধ্বংস করে দিয়েছেন। লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন। হাসিনা যে পরিমাণ টাকা লুট করে নিয়ে গেছেন, তা দিয়ে ১০০টি পদ্মা সেতু তৈরি করা যেত। বিগত ১৬ বছর শেখ হাসিনা লুটপাট, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র কায়েম করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। ধ্বংসপ্রাপ্ত বাংলাদেশকে পুনরুজ্জীবিত করতে তার൩েক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। এই ৩১ দফাই জাতীয় সরকার গঠনের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধিশালী দেশ উপহার দেবে।”
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. বদিউজ্জামান ফেরদৌসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. র🤪েজাতে রাব্বী উথানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ। প্রধান বক্তা ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস।