• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে বিড়াল হত্যার অভিযোগে জিডি


আবদুল্লাহ আল মামুন
প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২২, ০৬:২৬ পিএম
বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে বিড়াল হত্যার অভিযোগে জিডি

ধাতব অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পোষা বিড়ালকে হত্যার অভিযোগে বাড়িওয়ালা মোমিন উল্লাহর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন ভাড়াটিয়া মো. ইউসুফ হাওলাদার। বুধবার (১৫ জুন) রাজধানীর মোহাম♍্মদপুর থানায় জিডি𓃲 করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এসআই লিটন মাতব্বর। 

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ইউসুফ হাওলাদার মোহাম্মদপুরের সুলতানগঞ্জ এলাকায় মোমিন উল্লাহর বাসার পঞ্চম তলায় তার বাবা-মাসহ সাড়ে চার বছর বসবাস করছেন। ওই ভাড়া বাসায় আড়াই বছর ধরে একটি বিড়াল পুষছেন। গত ১০ জুন রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে অসাবধানশত দরজা খোলা থাকায় পোষা বিড়ালটি ভাড়াটিয়া ইউসুফ হাওলাদারের বাসা থেকে বের হয়ে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির মালিক মোমিন উল্লাহ ও তার স্ত্রী ফাতেমা আকতার তাকে জানান, বিড়ালটি তাদের (বাড়িওয়ালার) দরজার সামনে এসেছিল, তারা ধাতব অস্ত্র দিয়ে মারধর করে বিড়ালটিকে তাড়িয়ে দিয়েছে। সারা রাত খুঁজেও বিড়ালটির সন্ধান পাননি ইউসুফ হাওলাদার। বাড়িওয়ালার কথায় সন্তুষ্ট না হয়ে তার বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখানোর অনুরোধ করেন ভাড়াটিয়া। তখন বাড়িওয়ালাꦑ বলে, বাসায় কেউ কোনো পশুপাখি পুষতে পারবে না। তিনি বিড়ালটিকে হত্যা করে বাইরে ফেলে দিয়েছেন। 

কোথায় ফেলে দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে বাড়িওয়ালা ও তার স্ত্রী ভাড়াটিয়া ও তার মাকে গালমন্দ ও অপমান করে। বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যতে কথা বলতে চাইলে তার পরিণামও ভালো হবে না বলে বাড়িওয়ালা হুমকি-ধমকি দেন বলে জানানো হয়। জিডিতে আরও বলা হয়, ভাড়াটিয়ার বিড়ালটি অনেক আদরের ছিল। বিড়ালটির মর্মান্তিক পরিণতির কথা ভেবে তারা দুঃখ ভারাক্রান্ত। ভাড়াটিয়া সবার খাওয়াদাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বাড়িওয়ালার বাসার সিসিটি🍨ভি ফুটেজ দেখলেই ওই দিন বিড়ালটির ওপর সংঘটিত নির্মম আচরণের প্রমাণ মিলবে বলে মনে করেন ইউসুফ হাওলাদার। পোষা বিড়ালটিকে ভাড়াটিয়ার কাছে ফিরিয়ে না দিয়ে তার ওপর যে ধরনের নির্মম আচরণ করা হয়েছে- তা প্রাণী কল্যাণ আইন ২০০৯💫 পরিপন্থী কাজ। এমন অবস্থায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করতে ও প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে বিনীত অনুরোধ জানানো হয়। 

এ বিষয়ে ভাড়াটিয়া ইউসুফ হাওলাদার সংবাদ প্রকাশকে জানান, ‘‘আমরা সুলতানগঞ্জ এলাকায় মোমিন উল্লাহর বাসায় পরিবারের বাবা-মা, ভাই-বোনসহ চারজন থাকি। সাড়ে চাཧর বছরের মধ্যে বাড়িওয়ালা মোমিন উল্লাহর সঙ্গে আমাদের কোনো ঝগড়া বা ঝামেলা হয়নি। বিড়াল খুঁজে না পাওয়াতে বাড়িওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছেন, আবার বলেন, মেরে ফেলে দিয়েছেন কোনো একটা জায়গাতে, কিন্তু কোথায় ফেলেছেন তা বলছেন না। আর সিসি ক্যামেরার ফুটেজও দেখাচ্ছেন না।”

ইউসুফ হাওলাদার আরও জানান, ‘‘হয়তো কোনো একদিন বাড়িওয়ালার বাসার দরজায় বাইরের একটা বিড়াল ময়লা করেছে সেই জেরে এমনটা করেছেন। থানায় জিডি করেছি পুলিশ ব্ꩵযবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।“ 

ঘটনাটি নিয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে বাড়িওয়ালা মোমিন উল্লাহ বলেন, ‘‘ভাড়াটিয়া জিডি করছে সেটার তদন্ত করুক। যেখানে ঝামেলা আছে সেই বিষয়ে আমি কারও সঙ্গে কথা বলতে�🎃� চাই না। আর মামলা করলে আমিও ৫০ লাখ টাকার মানহানির মামলা করব।” 

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার এসআই লিটন মাতব্বর বলেন, ‘‘ভাড়াটিয়া জিডি করে🎃ছেন। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থꦛা নেওয়া হবে।”

Link copied!