নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, “দেশের আইনশৃঙ্খলার যে পরিস্থিতি, আমাদের দৃষ্টিতে, কꦑমিশনের দৃষ্টিতে শান্তিপূর্ণ আছে এবং উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে মনে করছে কমিশন।”
মঙ্গলবার (১৭অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে সম্প্রীতি বাংলাদেশের সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। সংগঠনটির পক্ষ থেকে ভোট নিয়ে সহি🎀ংসতার আশঙ্কা ಞকরা হয়।
মো. জাহাংগীর আলম বলেন, “সহিংসতার কোনো পরিস্থিতি যদি উদ্ভব হয় তবে অবশ্যই কমিশন তাদের আইনানুগভাবে সব ধরনের কার্যক্রম অব্🔜যাহত রাখবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, “ইতিমধ্যেই আপনারা জেনেছেন সম্প্রীতির বাংলাদেশের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক হয়েছে। সম্প্রীতির বাংলাদেশ মোট চারটি প্রস্তাবনা রেখেছেন। চারটি 🐎প্রস্তাবনার বিষয়ে কমিশন তাদের আশ্বস্ত🧜 করেছেন এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।”
বৈঠক শেষে সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ সম্প্রীতি বাংলাদেশের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। আর ইসিরꦆ পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনাররা এবং ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের লিখিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ধর্মভিত্তিক প্রচারণা এবং তার ফলে সৃষ্ট পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক প্ররোচণা বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এবং একাত্তরের পরাজিত শক্তি যাতে আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সে ব্যাপারে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ, ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং শান্তিপ্রিয় নির্বাচনমুখী সাধা𒆙রণ ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল চিহ্নিত করে নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচনোত্তর সহিংসতা রোধে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জাতীয় নির্বাচন এলেই সংখ্যালঘু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করে,📖 তাদের কপালে ভাঁজ পড়ে। আমরা এটা আর দেখতে চাই না। ইসিকে বলেছি শক্তভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সম্প্রীতি বাংলাদেশের মতো অরাজনৈতিক সংগঠনগুলো সহায়তা করবে। ইসি সহমত পোষণ করেছে। ২০০১ সালের মতো ব্ল্যাক অক্টোবর আর বাংলাদেশে দেখতে চ🍷াই না। যে ভয়াবহতা, নৃশংসতা, যে অত্যাচার প্রায় ৭১ সালকে মনে করিয়ে দেয়। সে জিনিসগুলো আমরা বাংলাদেশ থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে চাই। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তাদের সরকারে এবং কোনো আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চাই না।”
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো কাজ যদি তারা করেন আমরা সহযোগিতা করব। ২০০১ সালে আমরা সারা দেশ ঘুরে নির্যাতন, পাশবিকতার চিহ্ন দেখেছি, বর্বরতার চিহ্ন দেখেছি। সেটা যেন আর না হয়। আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। আমরা চাই দেশে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী নির্বাচনমুখী হোক এবং এবারের ভোটারদের মধ্যে তরুণরা বেশি। তাদের আমরা নির্বাচনমুখী করতে বলেছি। এ জন্য কেবল ইসি নয়, দলগুলোরও ভূমিকা রয়েছে। সামাজিক সংগঠন, মিডিয়ার ভূমিকাও ফেলে দেওয়া যায় না। ভোটের উৎসব যদি তরুণদের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে পারি তব♔ে অচিরেই আমরা একটি খোলসমুক্ত নির্বাচন প্রক্রিয়া পাব।”