পাবনা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “পাবনার সাংবাদিকতার সঙ্গে আমার জন্ম-জন্মান্তরের সম্পর্ক। আমি প্রাণ দিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠানকে লা🀅লন করি তার মধ্যে পাবনা প্রেসক্লাব অন্যতম। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।”
এক সময় ক্লাবের ছাদে বসে আড্ডা দিতেন সেই স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, রাষ্ꦓট্রপতি হলেও এখনও প্রাণের টানে এখানে ছুটে আসেন।
সোম♌বার (১০ জুন) সন্ধ্যায় পাবনা প্রেসক্লাবে রাষ্ট্রপতি তার বাল্যবন্ধুদের সঙ্গে শৈশব-কৈশোরের স্কুলজীবন, সাংবাদিকতা জীবন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা করে হাসি-ঠাট্টায় মেতে ওঠেন।
আড্ডায় বসে তিনি প্𝓰রিয় আলুর চপ, শিঙাড়া, চ🐭িড়াভাজি, লুচি-আলুর দম খান। বলেন, “সেই স্বাদ আজও পাই।”
প্রায় দেড় ঘণ্টা রাষ্ট্রপতি পাবনা প্র🍸েসক্লাবে অবস্থান করেন। এ সময় স্কুল ও সাংবাদিকতা জীবনের বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, প্রবীণ শিক্ষক শিবজিৎ নাগ উপস্থিত ছিলেন।
জেলারꦑ উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “এজন্য কোনো সমালোচনা বা পিছু কথা আমি মনে রাখি না। সাধ্যমতো জেলার উন্নয়নে কাজ করব। ইছামতি নদীর সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে দিয়েছি। যাতে করে একটি দৃষ্টিনন্দন শহর হয়। ৫০০ বেডের পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।”
এ সময় পাবনা প্রেসক্লাবের নিজস্ব 🍃🍨ভবন তৈরিতে সার্বিক সহায়তা করারও প্রতিশ্রুতি দেন রাষ্ট্রপতি।
পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের ব্যবস্থাপনায় এ সময় আরও উপস্থি⛦ত ছিলেন বঙ্গভবনের সচিব ওবায়দুজ্জামান খান, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. আদিল উদ্দিন, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, পাবনা প্রেসক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মীর্জা আজাদ, সহসভাপ🌳তি শহীদুর রহমান শহীদ, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক আব্দুল মতীন খান, উৎপল মির্জা, আখিনুর ইসলাম রেমন, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপন, আখতারুজ্জামান আখতার, কামাল আহমেদ সিদ্দিকী, প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেল, ক্রীড়া সম্পাদক কলিট তালুকদার, সাংবাদিক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা, দৈনিক বিবৃতি সম্পাদক ইয়াছিন আলী মৃধা রতন, দৈনিক মর্নিং টাচের সম্পাদক এম জি বিপ্লব চৌধুরী, এইচ কে এম আবু বক্কর সিদ্দিক, শাহিন রহমান, জি কে সাদি, এস এম আলাউদ্দিন, রিজভি জয়, মুস্তাফিজুর রহমান রাসেল, সিফাত রহমান সনম, তপু আহমেদ, আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী।
এর আগে রাষ্ট্রপতি পাবনা🌃 ডায়বেটিক সমিতি, লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডার, প্যারাডাইস মিষ্টান𝓰্ন ভান্ডারে তিনি কিছু সময় কাটান।
রোববার দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো.📖 সাহাবুদ্দিন চার দিনের সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছান। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পাবনায় এটি তার চতুর্থ সফর।
পাবনা প্রেসক্লাব ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প🍷্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পর থেকেই সাহাবুদ্দিন ক্লাবে আসতে শুরু করেন। তিনি ‘বাংলার বাণী’ পত্🌊রিকায় সাংবাদিকতার সুবাদে পাবনা প্রেসক্লাবের ২২তম সদস্য হন।