সেশনজট নিরসনে বদ্ধপরিকর সৎ, যোগ্য ও গবেষক শিক্ষককে উপাচা𒐪র্য হিসেবে দেখতে চান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, গত ২৬ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে দেশের আরও পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার ভিত্তিতে যোগ্য ও গবেষক উপাচাꦜর্য পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
এরই ধারাবাহিকতায় নতুন উপাচার্য পেতে প্রহর গুꦏনছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারাও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একাডেমিশিয়ান, সৎ ও দক্ষ উপাচার্য প্রত্যাশা করছে। নতুন এ উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিদ্যমান সেশনজট সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলেও আশাবাদী শিক্ষার্থীরা।
করোনা মহামারির ধকল পার না করতেই বিগত মাসগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আরও সেশন জটে পড়েছে বিভাগগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগের একটিও একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পরীক্ষা শেষ করতে পারেনি। এতে ক্ষোভে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা 🍷আন্দোলন করেছে বলেও জানা গেছে। কোনো কোনো বিভাগে নানা সমস্যা নিরসনে দফা-দাবি উত্থাপন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষারꦕ্থী সুজন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যিনি আসব🐷েন, তিনি শিক্ষার্থীবান্ধব, সেশনজট নিরসনে কাজ করবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রাকচারাল উন্নয়নের চেয়ে গবেষণায় বেশি জোর দেবেন, এমন শিক্ষককে ভিসি হিসেবে চাই।”
আল-হাদিস অ্যান্ꦡড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন ইমন বলেন, “দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পন্ন আলাদা আদলে প্রতিষ্ঠিত আমাদের ইবিꦺ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য ছিল ইসলামী শিক্ষার সঙ্গে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের উচ্চশিক্ষায় উন্নত জাতি গঠনে ভূমিকা রাখা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে মেধাবী এবং ইবি প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করবেন, এমন একজন কে আমি ভিসি হিসেবে চাই।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি সমন্বয় এস এম সুইট বলেন, “উপাচার্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ ভোমরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকাণ্ড তার মাধ্যমে সম্পাদন হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিতে উপাচার্যের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ইবি দেশের অন্যতম প্রধান বিদ্যাপীঠ। উপাচার্য হিসেবে আমরা চাই, তিনি হবেন দুর্নীতিমুক্ত, শিক্ষার্🌸থীবান্ধব, যোগ্য ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। যার দূরদর্শী নেতৃত্বে ইবির ৩৬টি বিভাগের সেশনজট নিরসন করে এগিয়ে যাবে আমাদের প্রাণের ক্যা🍒ম্পাস।”