বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের পর রাজধানীজুড়ে রেস্তোরাঁগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে রাউজকসহ বিভিন্ন সংস্থা। এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি রেস্তোরাঁ ও༺ ভবন সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের টুইন পিক টাওয়ারের রুফটপ রেস্তোরাঁসহ ওই ভবনের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করে দেয় রাজউক। এ ছꦆ𝐆াড়া জিগাতলার একটি ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়।
কর্তৃপক্ষের এমন তৎপরতায় অনেকে সাধুবাদ জানালেও কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমত💦 পোষণ𝓰 করেছেন। তাদের বক্তব্য এমন অভিযান নিয়মিতই পরিচালনা করা উচিৎ ছিল। তাহলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটত না।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর জিগাতলা সাত মসজিদ রোডস্থ কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজার সা🍸মনে কথা হয় সোহেল রানার ও নূরে জান্নাতের সঙ্গে। প্লাজার সামনে ঝোলানো রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ লেখা সতর্কবার্𒅌তা।
সোহেল রানা বলেন, “বাংলাদেশে অগ্নিকাণ্ড প্রায়-ই ঘটেছে। ঘটনার পর অভিযানের তোড়জোড় থাকে, পরে আর খবর থাকে না। আগুন♉ে যারা স্বজন হারিয়েছেন, তারাই তার কষ্⛄ট বুঝছেন। এখন হাজারো রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিলেও তাদের ফেরত পাওয়া যাবে না। এগুলো আগেই দেখার দরকার ছিল।”
নূরে জান্নাতের কথায় উঠে এসেছে আফসোস আর আতংকের বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, “যখনই বাড়ি থেকে বের হই, তখনই আতংকের মধ্যে থাকতে হয়। কোনো বিস্ফোরণ হলো নাকি! ঝুঁকির কথা জানিয়ে ব্যানা🦂র টানানো হচ্ছে। আগেই টাঙালে বেইলি রোডে এত মা🐻নুষ মরতো না।”
সোমবার (৪ মার্চ) কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজায় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। পরে তা সিলগালা করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।🌌 এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়।
দায়িত্বশীলদের কার্যক্রমে খুশি নগরবাসী। তবে অভিযোগও কম নয়।ꦍ অনেকেই বলছেন, দপ্তরগুলোর দুর্বলতার কারণে এতদিন বীরদর্পে চলছে প্রতিষ্ঠানগুলো। জরুরি ছিল এর আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার।
সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি, জানিয়ে অভি নামের এক ব্যক্তি বলেন, “এখন অভিযান চালিয়ে শুধু ধরা হচ্ছে দোকানের মালিক নয়তো কর্মচারীদের। কিন্তু যারা অনুমোদন দিলো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কোথায়? ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে যদি আগুন লাগে তবে সবাই এতে দায়ী। লাইসেন্স কিংবা অনু💦মোদন ছাড়া তো ব্যবসা করা সম্ভব নয়। ব্যবস্থা নিলে সবার বিরুদ্ধে নিতে হবে।”
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) ও নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, “একটি ভবনের দুর্ঘটনার পর সকলের দায় রয়েছে। কারণ একটি ভবনের নকশা করা থেকে শুরু করে লাইসেন্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটার পর রেস্তোরাঁর মালিক বা সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার করে নয়, যারা অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা জরুরি। অবৈধ উদ্দেশ্যে সাধনের লক্ষ্যে কেউ কেউ সুশাসনের আগ্রহী নন। সমন্বয় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা হলে এই সমস্যার সমাধান হবে।”