• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


আগুনে সব হারিয়ে রেললাইনের ধারে কাটছে জীবন


বিজন কুমার
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
আগুনে সব হারিয়ে রেললাইনের ধারে কাটছে জীবন
রেললাইনের পাশে আগুন পোহাচ্ছিলেন আছিয়া ও মনোয়ারা। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা। বিএফডিসি সংলগ্ন রেললাইনের পাশে আগুন পোহাচ্ছিলেন আছিয়া ও মনোয়ারা। দীর্ঘদিন ধরেই তারা বসবাস করতেন মোল্লাবাড়ি বস্তিতে। সম্প্রতি এই বস্তিটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে তাদের মাথা গোজার শেষ আশ্রয়স্থলের সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে গেছে আয়-উপার্জন করা শেষ সম্বলটুকু। কোথায় থাকার জায়গা না পেয়ে তীব্র এই শীতে রেললাইনের ধারে কাটছে তাদে﷽র জীবন।

সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে কথা হলে আছিয়া🦩 বলেন, “আগুনে বাড়ি পুইড়া যাওনের পর আর💎 কিছু নাই। কোনোমতে জীবন নিয়া বাইর হইছি।  সবজির ব্যবসা করতাম। আগুনে পুঁজিও পুইড়া গেছে। মানুষে একটা চাদর দিছে। ঠান্ডাতে কষ্ট হইলেও কী আর করমু!”

মনোয়ারা বলেন, “আগুনে সব পুইড়া শেষ আমাগো। কেউ আত্মীয়র বাড়িতে চইলা গেছে। আর বাড়ি পাইয়ে চইলা গেছꦆে। আমরা পারমু না বেশি দামে বাড়ি লইতে। তাই ঠান্ডাতে কষ্𒆙ট হইলেও এই হানেই আছি। একটা বাড়ি যদি সরকারে কইরা দিত।”

শুধু আছিয়া কিংবা মনোয়ারা নন, তার মতো একই অবস্থা আরও অনেকের।  সবাই প্রায় একইরকম প্রত্যাশা প্রকাশ করছেন। তাদের প্রত্যাশা, সাময়িক কিছু সহযোগিতা পেলেও এখন দরকার এক টুকরো নিরাপদ আশ্র🍰য়স্থলের।

রেললাইনের ধারে কাটছে জীবন। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

আব্দুল মালেক নামের এক ব্যক্তি বলেন, “আমি মাছ কেটে দেওয়ার কাজ করতাম। সেদিন আগুন লাগ𒀰ার পর আমার হাতিয়ারটা হারায় ফেলছি। তারপর থেকে আর আগের ম💖তো কাজ করতে পারছি না। এখন আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। গুছাতে হবে। কবে পারব, আগেরও মতো পারব কি না তা জানা নেই।”

বস্তিতে বসবাস করা ফাইজুল ইসলাম বলেন, “আগুন লাগার পর সহযোগিতা পাইছি। ဣকিন্তু দিন শেষে থাকার জায়গাটুকু কারও নাই। ജএখন রেললাইনের পাশেই কাটছে। ঠান্ডার কারণে অবস্থা অনেক খারাপ।”

গত ১২ জানুয়ারি রাত ২টায় মোল্লাবাড়ি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।  এতে বস্তির প্রায় ৩০০টি ঘর পুড়🎶ে যায়। এছাড়া দু🅰ইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

মোল্লাবাড়ি বস্তির অংশিদার𝕴 ওদ্দুত নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হল𓂃ে তিনি বলেন, “প্রশাসন থেকে এখানে কিছু না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন বলেছে, এখানে আগের মতো কাঠ, টিন দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না। অন্য কোনোভাবে বাড়ি নির্মাণ করা হলেও সেটা সময় সাপেক্ষ।”

Link copied!