• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


মানব পাচার চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ০১:৩৪ পিএম
মানব পাচার চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে উচ্চ বেতনে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে মানবপাচার চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়𒁃ন (র‍্যাব)।

গ্রেপ্তাররা হলেন মূলহোতা তোফায়েল আহমেদ (২৮), মো. আক্তার হোসেন (৩৮), মো. আনিছুর রহমান (৩৬), মো. রাসেল (৩০)। 🔥কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও র🦄াজধানীর গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৬টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক বই, ৪টি স্ট্যাম্প, ৫টি মোবাইল 🍨ফোন, ৪টি বিএমইটি কার্ড🦹 ও ৪টি রেজিস্ট্রার জব্দ করা হয়।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় কাওরান বাজার মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ💛 সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, চক্রটির প্রলোভনে পড়ে ভুক্তভোগী এবং তাদের অভিভাবকরা রাজি হলে প্রথমে তারা পাসপোর্ট এবং প্রাথমিক খরচ বাবদ ৫০ হাজার হতে ১ লাখ টাকা নিতেন। এরপর ভুক্তভোগী ও অভিভাবকদের বিদেশ থেকে তাদের বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে ফোন দিয়ে আশ্বস্ত করা হতো যে, তাদের (আসামি) মাধ্যমে বিদেশ গিয়ে তারা খুব ভাল আছেন এবং অনেক অর্থ উপার্জন করছেন। এর ফলে ভুক্তভোগী ও অভিভাবকরা আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পরিবহন খরচ, ভিসা খরচ, মেডিকেল খরচ, বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি খরচের কথা বলে আসামিরা ধাপে ধাপে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করতে থাকেন। আসামিরা ফ্লাইটের আগে ভুক্তভোগীর কাছে তার পাসপোর্ট, ভিসা কিংবা টিকেট হস্তান্তর করতো না। এক সময় একটি নির্দিষ্ট 𝕴তারিখে কাপড়-চোপড়সহ লাগেজ নিয়ে ভুক্তভোগীকে বিমানবন্দরে হাজির হতে বলা হতো। ফ্লাইটের দিন বিমান বন্দরে প্রবেশ গেইটে ভুক্তভোগীর কাছে তার পাসপোর্ট, ভিসা এবং টিকেট হস্তান্তর করা হতো। বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশনে যাওয়ার পর ভুক্তভোগী বুঝতে পারতেন তাকে ভ্রমণ ভিসায় বিদেশ পাঠানো হচ্ছে। তখন আসামিদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা ছাড়া ভুক্তভোগীর কিছুই করার থাকতো না। আসামিরা তখন আশ্বস্ত করতো, বিদেশ যাওয়ার পর তাদের ওয়ার্কিং ভিসা করে দেওয়া হবে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, বিদেশে পৌঁছার পর দুবাই প্রবাসী জাহিদ ভুক্তভোগীদের স্বাগত জানিয়ে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয💖়ে যেতেন। তারপর ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে পাসপোর্ট এবং নগদ অর্থ নিয়ে নেওয়া হতো। তারপর তাদের একটি সাজানো কোম্পানিতে চাকরি দেওয়া হতো। চার পাঁচ দিন পর সেই কোম্পানি থেকে জানিয়ে দেওয়া হতো কোম্পানি আইনি জটিলতার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে বিভিন্নভাবে ভুক্তভোগীদের হয়রানি করা হতো।

আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেౠন, আসামিদের ট্রাভেল এজেন্সি বা রিক্রুটিং এজেন্সি পরিচালনার কোনো লাইসেন্স নেই। তারা শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সিটি এক্সপ্রেস ট্রাভেল এজেন্সি নামে মানবপাচার ব্যবসা করে আসছেন।

গ্রেপ্তার আসামিদের 🥂বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে𓃲 বলে জানান র‍্যাবের এ কর্মকর্তা।

Link copied!