• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিও পরিচয়ে প্রতারণা করেন রাসেল: ডিবি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২২, ০৪:৪৯ পিএম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিও পরিচয়ে প্রতারণা করেন রাসেল: ডিবি
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিও (অ্যাডিশনাল পার্সোনꦛাল অফিসার) পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মো. রাসেল মিয়া নামের এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম𝓡 বিভাগ।

এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ও দুইটি সিম, ১৬টি ভিজিটিং কার্ড (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিও পরিচয়ধারী) ও একটি সিল (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিও পরিচয়ধারী) জব্দ করা হয়। রংপুর জেলার কোতয়ালী থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা ফাইন্যান💧♐্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে রাজধান🌞ীর ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ 𓃲কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, “এমডি. রাজ বিন রাসেল তালুকদার’ নাম দিয়ে এক ব্যক্তি  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রীর ছবি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবি ফেসবুকে ব্যবহার করে নিজেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিও পরিচয় দিয়ে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিও পরিচয় দিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাকরির প্রলোভন, বিভিন্ন রাজনৈতিক সমস্যার 🐬সমাধান, পুলিশে লোক নিয়োগ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, বদলি, এলাকার মামলা নিষ্পত্তি সংক্রান্তে তদবির করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এ ধরনের এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার (১৮ জুলাই) তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্তকালে প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।”

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, “গ্রেপ্তার রাসেল রংপুর পীরগঞ্জের বাসিন্দা। সে ‘এমডি. রাজ বিন রাসেল তালুকদার’ নাম দিয়ে ফেইসবুকে আইডি খোলে। সে কৌশলে মন্ত্রী, এমপি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক🗹্তিবর্গের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করে। ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ অফিস নেতাকর্মীদের জন্য উন্মুক্ত থাকার সুযোগে রাসেল ধানমন্ডি পার্টি অফিসে আসতো। ফলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। পার্টি অফিসে ছবি তুলে সে ছবি তার নিজ ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করে। তার আপলোডকৃত ছবি ব্যবহার করে নিজ এলাকাসহ রংপুর জেলার একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সমাজে নিজেকে পরিচিত করে। এ ছাড়াও  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিও পরিচয় দিয়ে ভুয়া ভিজিটিং কার্ড বানিয়ে তা সকলের মাঝে বিতরণ করত।”

ডিবির অতিরিক্ত কমিশ💫নার বলেন, “ভিআইপিদের সঙ্গে ছবি থাকলেই সম্পর্ক করা বা লেনদেন করা যাবে না।”

এ সময় প্রতারণা এড়াতে এমপি, মন্ত্রী ও সমাজের বিশিষ্টজনদের ঘনিষ্ঠ পরিচয়ে কারও সঙ্গে লেনদেন থেকে বিরত থাকা এবং অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিত কারও সঙ্গে ছবি তোলার ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শও দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
 

Link copied!