আজ ২ ডিসেম্বর, বিশ্ব দাসত্ব ব🏅িলোপ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিব𝐆সটি পালিত হবে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্🍃য ‘দাসত্ব বর্ণবাদের উত্তরাধিকার বিলোপ: বৈশ্বিক ন্যওায়বিচারের জন্য বাধ্যতামূলক’।
এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য🅷 হচ্ছে- মানবপাচার, যৌনদাস, জবরদস্তিমূলক শিশুশ্রম, বলপ্রয়োগে বিয়ে ও যুদ্ধে শিশুদ🌱ের ব্যবহার বন্ধে সচেতনতা বাড়ানো। সবচেয়ে বড় কথা, মানবপাচার হয়ে গেছে এখন আধুনিক বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। একে ক্রীতদাস প্রথার নতুন রূপ বলেই অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
১৯৪৯ সালের এই দিনে জাতিসংঘ স🌠াধারণ পরিষদে দাসত্ব বিলোপ করতে বিশ্বব্যাপী দাসপ্রথা ও ব্যবসা নিষিদ্ধকরণের ওপর কনভেনশন গৃহীত হয়। এজন্য আজকের এ দিনটি বিশ্বব্যাপী দাসত্ব বিলুপ্তি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৭৯১ সালে বর্তমান হাইতি ও ডোমিনিকান রিপাবলিকান অঞ্চলে প্রথমে দাসপ্রথার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরবর্তীতে ব্রিটেন ১৮০৭ সালে ও যুক্তরাষ্ট্র ১৮০৮ সালে তাদের আফ্রিকান দাসদের মুক্তি দেয়। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্য ১🐻৮৩৩ সালে, ফ্রান্স ১৮৪৮ সালে ও যুক্তরাষ্ট্র ১৮৬৫ সালে আইন করে দাসপ্রথা নিষিদ্ধ করে।
এখনও বি🃏শ্বের এক কোটি ২০ লাখ মানুষ জোরপূর্বক শ্রম, দাসত্ব ও দাসত্ব সংশ্লিষ্ট প্রথার কাছে বন্দি। সমাজবিজ্ঞানীদেꦓর অভিমত হচ্ছে- দাসপ্রথার ভয়াবহতা এখন না থাকলেও এর রূপান্তর ঘটেছে, কিন্তু সমাজে তা এখনও বিদ্যমান।
তাদের মতে, প্রত্যেকের ঘরে ঘরে দাস রয়েছে। তারা হচ্ছে, আমরা যাদের কাজের লোক বলি। এছাড়া সম্পদশালী ভূমিমালিকের জমিচাষে ‘কৃষক ক্রীতদাস’ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়। রয়েছে শিশুশ্রম বিশ্বের অনেক দেশেই। বাংলাদেশে ১৪ বছর বয়সী শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ৬৩ লাখের বেশি। ৮০ লাখ ১৭ বছরের নিচে শিশুশ্রমিক। আছে পতিতাবৃত্তি ও জোরপূর্বক বিয়ের প্রবণতা﷽। এগুলো দাসꦜত্ব প্রথার আওতায় পড়ে।
দাসত্ব বলতে বোঝায় কোনো মানুষকে জোর করে শ্রম দিতে⛎ বাধ্য করা এবং এক্ষেত্রে কোনো মানুষকে অন্য মানুষের &lsq𒀰uo;অস্থাবর সম্পত্তি’ হিসেবে গণ্য করা। এই দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ ব্যক্তিদের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই স্থান বা মালিকানা পরিবর্তন হয়ে যায়। তাদের শ্রমের কোনো মজুরিও নেই।
💯এর আগে অতীতে কোনো কোনো সমাজে নিজের দাসকে হত্যা করাও আইনসঙ্গত ছিল।