• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


দেশের প্রথম ৬ লেনের মধুমতি সেতু উদ্বোধন সোমবার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২২, ০৪:৫৫ পিএম
দেশের প্রথম ৬ লেনের মধুমতি সেতু উদ্বোধন সোমবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (১০ অক্টোবর) নড়াইলে দেশের প্রথম ছয় লেনের মধুমতি সেতু এবং নারায়ণগঞ্জে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর উদ্বোধন করবেন। ত꧅িনি দুপুর ১২টায় তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ💞ই সেতু দুটি উদ্বোধন করবেন।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুমতি নদীর ওপর ৬৯০ মিটার দীর্ঘ মধুমতি সেতু💖 নির্মিত হয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে কালনা সেতু নামে পরিচ🍸িত।

এটি নড়াইল, গোপালগঞ্জ, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষ𒀰ীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর এবং☂ ঝিনাইদহ জেলাকে সংযুক্ত করেছে।

প্রকল্প ক🎃র্মকর্তাদের মতে, সেতুটি চালু হওয়ার মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ দ্রুত সড়ক যোগাযোগ সুবিধা পাবে। কারণ, সেতুটি কালনাঘাট থে🌠কে রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব কমিয়ে দেবে।

দক্ষিণ-পশ্চি🌳মাঞ্চলের অন্তত ১০টি জেলার মানুষ কম সময়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতে পারবে। এটি দেশের বৃহত্তম স্থলবন🐼্দর বেনাপোল, যশোর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ভ্রমণের সময়ও কমিয়ে দেবে, কারণ, এতে ঢাকা থেকে দূরত্ব হবে মাত্র ১৩০ কিলোমিটার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা এবং নড়াইলের অন্তর্গত লোহাগড়া ꦐউপজেলার মধ্যে মধুমতি সেতুর ভিত্তিপ্র൲স্তর স্থাপন করেন।

এ ⛦অঞ্চলের মানুষ এখন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট হয়ে ঢাকা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক ব্যবহার করে যার অর্থ তারা যশোর থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে আরও ১০০ কিলোমিটার বেশি ভ্রমণ করে।

প্রকল্পের কর্মকর্তাদের মতে, সেতুটি এশিয়ান হাইওয়ের একটি অংশ যা রাজধানীকে দেশের বৃহত্তম বেনাপোল স্থলবন্দরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গ🅷ে সংযুক্ত করবে।

২৭.১ মিটার চওড়া সেতুটিতে চারটি উচ্চ গতির লেন ৪.৩০ কিলোমিটার💫 অ্যাপ্রোচ রোড এবং দুটি সার্ভিস লেনসহ ছয়টি লেন রয়েছে।

যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি🌃জের সাবেক সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, সেতুটি এ অঞ্চলের অর্থনীতিকে চাঙা করবে এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যাপকভাবে সহজ করবে।

বেনাপোল স্থলবন্দর, মোংলা সমুদ্রবন্দর ও নোয়াপাড়া নদীবন্দরের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অঞ্চলের বাসিন্দারা এক দিনের মধ্যে ঢাকায় তাদের কাজ শেষ করে ঘরে ফিরতে পারবেন। সেতুটি চালু হলে কালনা ফেরি ঘাট হয়ে যেত😼ে তাদের দীর্ঘদিন💖ের ভোগান্তির অবসান হবে বলে জানান কয়েকজন যাত্রী।

তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু, যা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নাসিম ওসমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে, এটি নারায়ণগঞ্জ শহরকে বন্দর উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করবে, অর্থনীতি চাঙা করবে, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার মধ্যে যোগ𒐪াযোগ সহজতর করবে।

সেতুটির প্রকল্প 🐬পরিচালক শোয়েব আহমেদ বলেন, ১.২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলগামী যানবাহন এবং একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহন যানজট এড়াতে এবং সময় বাঁচাতে নারায়ণগঞ্জ শহরকে বাইপাস ক🍨রতে সক্ষম করবে।

তিনি বলেন, এতে দেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য꧒ভাবে চাঙা হবে। কারণ, এটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে যানবাহনের ভ্রমণের সময় কমিয়ে দেবে।

সেতুটির সঙ্গে নতুন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলে পদ্মা সেতু থেকে জনগণ সর্বোচ্চ সুবিধা পাবে বলেও জানান তিনি। সেতুটি পূর্বে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জকে পশ্চিমে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুরের সঙ্গে যুক্ত করবে। এখন মোটরচালিত নৌযানই নদীর দুই পাড়ের মানুষ ও অন্যান্য এলাকার জনসাধারণের জন্য পারাপারের প🎐্রধান মাধ্যম।

বন্দর উপজেলার বাসিন্দা ও সাংস্কৃ🤪তিক ব্যক্তিত্ব ইউসুফ আতিক মালিক বলেন, সেতুটি স্থানীয় এবং জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বেশ💫ি তাৎপর্যপূর্ণ হবে।

তিনি বলেন, এখন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ঢাকার যাত্রাবাড়ী রুট ব্যবহার করে পোস্তগোলা ব্রিজ হয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে যায় অথ💛বা চাষাঢ়া ও সাইনবোর্ড রুট ব্যবহার করে গন্তওবে পৌঁছায়।

শীতলক্ষ্যা সেতু চালু হলে পঞ্চবটি বিসি𝔍ক শিল্প এলাকা, পঞ্চবটি মোড়, চাষাঢ়া মোড়, সাইনবোর্ড, নারায়ণগঞ্জের চট্টগ্রাম সড়ক বা ঢাকার পোস্তগোলা ও শনির আখড়া রুটে যানবাহনকে তীব্র যানজটের সম্মুখীন হতে হবে না বলে জানান শোয়েব আহমেদ।

যানবাহন🐼গুলো রাজধানীর পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ শহরকে বাইপাস করতে পারবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে রাজধানী ও নারায়ণগঞ্জ শহরের ওপর চাপও কমবে।

প্রকল্পটি ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদন পেলেও ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারিꦑ নির্মাণকাজ শুরু হয়।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, সেতু নির্মাণে ৬০৮.৫৬ কোটি টাকা বꦰ্যয় ধরা হয়েছে এর মধ্যে ২৬৩.৩৬ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে এবং ৩৪৫.২০ কোটি টাকা সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) থেকে এসেছে।

ওয়াকওয়েসহ সেতুটিতে ৩৮টি স্প্যান রয়েছে - পাঁচট⭕ি নদীতে এবং ৩৩টি পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে। হাঁটার পথসহ সেতুটির প্রস্থ ২২.১৫ মিটার। এছাড়া, ছয় লেনের টোল প্লাজা এবং দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ রোডও নির্মাণ 🍌করা হচ্ছে।

শীতলক্ষ্যা নদী বনᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚ্দর উপজেলা ও সোনারগাঁ উপজেলাকে জেলা সদর থেকে পৃথক করেছে। এ দুটি উপজেলা সরাসরি সড়কপথে জেলা সদরের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল না। দুই উপজেলা থেকে জেলা সদরে যেতে কাঁচপুর ব্রিজ (শীতলখ্যা-১ সেতু) ব্যবহার করতে হতো, যার জন্য নৌকায় নদীপথের মাত্র ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্ব সড়কপথে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হতো।

বন্দর উপজেলায় বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে কাজের জন্য নৌকায় করে শীতলক্ষ্যা নদী পাড় হয়। একইভাবে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ থেকেও মানুষ নৌকায় শীতলক্ষ্যা নদী পাড়ি দিয়ে বন্দর বা সোনারগাঁ উপজেলায় আসে। নারায়ণগঞ্জের বন্দর উꦚপজেলার ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতুটি বন্দর উপজেলা ও জেলা সদরের মধ্য꧃ে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করবে।

Link copied!