নারী-পুরুষ সবারই সৌন্দর্যই যেন চুলে আটকে থাকে। মাথায় ঘন- লম্বা চুল ততই যেন বেশি সুন্দর। মাথা ভরা চুল না থাকলে যেন সব সৌন্দর্যই নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু চুল পড়া এখন জাতীয় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ সবারই নিয়মিত কমবেশি চুল পড়ছে। কারো কারো তো মাথায় টাক পড়ে যাচ্ছে। নতুন চুল গজানোর জন্য কত চেষ্টা। হারবাল শ্যাম্পু, তেল লোশন কতকিছুই না দেওয়া হচ্ছে। ক্যামিকেলযুক্ত প্রসাধন💎ীর চেয়ে প্রাকৃ💮তিক নানা রকম উপাদান দিয়ে চুলের পরিচর্যা করে অনেকেই ফল পাচ্ছেন। চুল পড়া বন্ধ হয়ে আবার নতুন চুলও গজাচ্ছে। এমনই চুলের সমস্যার ঘরোয়া সমাধানে কাজ করে টক দই। বিশেষ করে টাক পড়া রোধে টক দই বেশ কার্যকরী।
আমরা জানি, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং খাবার হজমপ্রক্রিয়া সহজ করতে টক দইয়ের জুড়ি নেই। তেমনই এই খাবা🥂রটি নতুন চুল গজাতেও বেশ কার্যকরী। সম্প্রতি ভারতের এক ভিডিও নেটপ্রভাবী এবং সুগন্ধিবিদ মনোজ দাস দাবি করেন, টক দই মাথায় নতুন চুল গজাতে পারে। তবে এর সঙ্গে গোলমরিচ, দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে মাখতে হবে মাথায়। এই মিশ্রণটি মাত্র ৪ সপ্তাহ মাথায় মাখলেই নতুন চুল গজাবে।
সম্প্রতি ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। ভিডিও বার্তায় পুরো প্যাকটি বানানো প্রক্রিয়াও দেখানো হয়💝। যেখানে দেখা যায়, ৪ টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে ১ চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো এবং ১ চা চামচ দারচিনির গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ৪ ঘণ্টা মিশ্রণটি ঢেকে রাখতে হবে। এরপর ওই মিশ্রণটি মা൩থার ত্বকে মাখেত হবে। ঘণ্টাখানেক রেখে দিতে হবে। এরপর শ্যাম্পু করে নিতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতি সপ্তাহে ৩ দিন মাখলেই হবে।
সুগন্ধিবিদ মনোজ দাসের দাবি, গোলমরিচ এবং দারচিনির মধ্যে থাকা উৎসেচকগুলো মাথার ত্বকরে♓ ফলিকলকে উদ্দীপিত করে। তাই এটি ভালো কাজ করে।
এদিকে মনোজ দাౠসের দাবি করা এই প্যাকটি সবার জন্যই উপকারী হ🔯বে কিনা সে বিষয়েও জানিয়েছেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা।
ভার♚তের ত্বকের চিকিৎসক শরিফা চৌসে জানান, ত্বক ও চুলের জন্য টক দই অবশ্যই ভালো। এটি মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখে। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ মাথার ত্বকে সংক্রমণজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে। রুক্ষ চুল রেশমের মতো মসৃণ করে। আবার গোলমরিচ বা দারচিনির গুঁড়োও মাথার ত্বকের জন্য উপকারী। তবে এই দুটি উপাদান ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটি স্পর্শকাতর হতে পারে। তাই এই প্যাকটি ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সূত্র: আনন্দবাজার