মিঠা পানির মাছের তুলনায় সামদ্রিক মাছের পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে। শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের খুব ভালো উৎস সামুদ্রিক মাছ। সামুদ্রিক মাছে ২ ধরনের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। ইপিএ ও ডিএইচএ। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি নানান রোগ নিয়ন্ত্রণ রাখে। নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খেলে বেশ কিছু সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। সামুদ্রিক মাছ খুবই কম ক্যালরিযুক্ত খাবার হওয়ায় ওজনও নিয়ন্ত্রণ রাখে। ১০০ গ্রাম সামুদ্রিক মাছে ৪২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রোটিন ছাড়াও এতে আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিংক ও পটাশিয়ামসহ অনেক অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান থাকে। এসব উপাদান শরীরের নানা রোগের প্রতিরোধ যেমন করে তেমনি মস্তিস্কের ক্ষমতা বা দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহ♏ায্য করে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ করে
সামুদ্রিক মাছে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের জন্য উপকারী। এটি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
তাছাড়া 💙উচ্চ রক✤্তচাপের সমস্যা কমিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
মস্তিস্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
শিশু-কিশো🐼রদের মানসিক ও শরীরিক গঠনে ভূমিকা পালন করে সামুদ্রিক মাছ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু অংশের ক্ষমতা বাড়ায়, যেটি স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং ডিমনেশিয়া বা অ্যালজাইমারের মত রোগ প্রতিরোধ করে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিট থাকে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি 🉐অ্যাসিড চোখের রেটিনার 𒁃কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
বেশির ভাগ সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন এ ও 🌼ভিটামিন ডি থাকে যা কোলেস্টেরলের 🅘মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
সামুদ্রিক মাছ মানুষের দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা মিটিয়🅘ে নানা রোগ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। এতে জিংক ও আয়োডিন আছে। জিংক রোগ প্রতিরཧোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া আয়োডিন থাইরয়েড গ্লান্ডের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদন। এটি গলগণ্ড রোগ প্রতিরোধ কর। ক্লান্তি ও পেশির কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার মত রোগ প্রতিরোধ করে। এ ছাড়াও নার্ভের রোগের ঝুঁকি কমায়।
দ্রুত পরিপাক যোগ্য
সামুদ্রিক মাছ আমিষের ভালো উৎস। এটি খেলে দ্রুত পরিপাক হয় এবং এতে ক্যালরি খুব কম থাকায় ওজনও নিযও়ন্ত্রণে থাকে। সামুদ্রিক মাছে উপস্থিত সেলেনিয়াম এক ধরনের হজম শক্তি তৈরি করে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এ ছাড়াও সেলেনিয়াম অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।