দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা হচ্ছে। বন্যায় বড় সমস্যা হ🔴লো পানিবাহিত রোগ। বিশেষ করে পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়ার প্রকুপ বাড়ে। ডায়রিয়া হলে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। আর এই পানিশূন্যতা দূর করতে খেতে পারেন স্যালাইন। তবে সব সময় স্যালাইন হাতের কাছে পাওয়া যায় না। বিশেষ করে যদি কেউ পানিবন্দি অবস্থায় থাকে তাদের কাছে সব সময় স্যালাইন পৌঁছায় না। তাই হাতের কাছে প্যাকেট জাতীয় স্যালাইন পাওয়া না গেলেও নিজের ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন খাওয়ার স্যালাইন। চলুন জেনে নেই স্যালাইন তৈরির সঠিক নিয়ম-
প্যাকেটজাত স্যালাইন তৈরি নিয়ম
প্রথমে দুই হাত, পাত্র ও চামচ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবার পাত্রে আধা লিটার বিশুদ্ধ পানি নিয়ে তাতে প্যাকেটের পুরো মিশ্রণটিই ঢেলে দিন। এরপর পরিষ্কার চামচের সাহায্যে মিশ্রণ ও পানি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। প্রয়োজন অনুযায়ী ডায়রিয়া ভালো হওয়ার আগ পর্যন্ত খ🅘াওয়া🌃তে থাকুন।
বাড়িতে স্যালাইন তৈরির নিয়ম
- একটি পরিষ্কার পাত্রে এক লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি নিন। খাবার পানি অবশ্যই স্বাভাবিক তাপমাত্রার হতে হবে। বিশুদ্ধ পানি না থাকলে পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে নিন। পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করা হলে তা ঠান্ডা করে নিন।
- পাত্রের পানিতে আধা চা-চামচ পরিমাণ লবণ মেশান। চামচ দিয়ে মিশ্রণটি ভালো করে নাড়ুন যাতে লবণ ভালোভাবে পানির সঙ্গে মিশে যায়।
- লবণ পানির মিশ্রণে এক মুঠো গুড়ে মেশান। গুড়ের বদলে চিনিও ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ৬ চা চামচ চিনি মেশাতে হবে। গুড় ভালোভাবে মেশানো হলে তৈরি হয়ে যাবে স্যালাইন।
সতর্কতা
স্যালাইন তৈরির সময় উপাদানে কম বেশি করা যাবে না। চিনির পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে ডায়রিয়া বেড়ে যেতে পারে, আবার অতিরিক্ত লবণ শিশুর মৃত্যুর কারণও হতে পারে। ঘরে তৈরি স্যালাইন 🍨৬ ঘণ্টার মধ্যেই পান করতে হবে। ৬ ঘণ্টা পর সেটি ফেলে দিতে হবে। প্যাকেটজাত স্যালাইন ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত খাওয়ানো যাবে। প্যাকেটজাত স্যালাইনে পানি কমবেশি করা যাবে না। কমবেশি হলে স্যালাইন কোনো কাজ করে না। বাজারে অনেক ধরনের ফ্লেভার মিশ্রিত স্যালাইন পাওয়া যায়। ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসায় এসব ফ্লেভার মিশ্রিত স্যালাইন খেলে ক্ষতি বেশি করতে পারে।