শীতের এই সময়টায় দৈনন্দিন খাবার তালিকায় যে কোন শাক রাখতে পারেন। এর মধ্যে পালংশাক পুষ্টিগুণে সেরা। পালংশাকে রয়েছে- ২৩ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ক♚্যালসিয়াম এবং লৌহ। এ ছাড়া ভিটামিন এ, 𒐪ভিটামিন কে, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, মাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক এসিড ইত্যাদি উপাদান খুব ভালো পরিমাণে রয়েছে।
এসব উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ এবং বিটা কেরোটিন থাকায় তা মানুষের কোলনের কোষগুলোকে রক্ষা করে। এছাড়া এতে রয়েছে ফোলেট। এই 🍰উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য অত্ꦗযন্ত উপকারী।
পালংশাকের সব উপাদান বিশেষ করে ফোলেট ঠিক মতো পেতে হলে রান্নার কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। মন চাইলো আর এক হাড়ি পানি দিয়ে আধা ঘন্টা সেদ্ধ করে খেলেন কিংবা ইচ্ছে মতো ভেজে খেলেন তা করা যাবে না। রান্নার ক্ষেত্রে🎀 কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কারণ রান্না কারণেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে সব পুষ্টিগুণ। তাহলে কীভাবে খাবেন পালংশাক?
আপনি যদি আধা কাপ পালংশাক খেতে পারেন তাহলে আপনি পাবেন ১০০ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট থাকে। আর ফোলেট পেতে হলে বেশি সময় নিয়ে সেদ্ধ বা ভাজা যাবে না। আর কাটার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে। যে কোন সবজিই যদি কুচি কুচি করে কেটে রান্না করলে এতে থাকা ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই বড় টুকরা করে কেটে রান্না করুন। তবে সেদ্ধ করে রান্না না করে ভাপিয়ে রান্না করুন। কারণ এই শাক ১০ ম𝓡িনিট সেদ্ধ করলে ৫৮ শতাংশ ফোলেটই নষ্ট হয়ে যায়। আবার সেদ্ধ না করে ভাজলে ৫০ শতাংশ ক্ষতি হয়। আর ৫ মিনিটের জন্য ভাপিয়ে রান্না করলে ফোলেটের কোনো ক্ষতি হয় না। তাই পালংশাক রান্না করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো বাষ্পে বা ভাপ দিয়ে রান্না করা। এতে পুষ্টিগুণ অটুট থাকবে।