বিয়ের প্রতিশ্রুতি পেয়ে কোনো নারী সহবাস করলে, এরপর তিনি ওই পুরুষের বিরুদ্ধে ধর্ষণ𒆙ের অভিযোগ আনতে পারেন না। এটিকে সহমতের ভিত্তিতে যৌনতায় লিপ্ত বলে উল্লেখ করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্ট।
বুধবারের (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দ🎐ুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাঁকুড়ার একটি ধর্ষণ মামলায় গত ৫ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণ দেন। তাতে বিচ🌺ারক বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ধর্ষণের বিষয়ে ওই মন্তব্য করেন। তিনি এটিকে পারস্পরিক যৌন সম্পর্ক বলে ꧋অভিহিত করতে চান।
২০১১ সালের ১২ জুলাই ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে বাঁকুড়ার অতিরিক্ত দায়রা আদালত। তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। এর বিরুদ্ধে আসামি হাইকোর্টে আপিল করেন। সেই মামলায় বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যবেক্ষ🔜ণ দিয়েছেন।
পর্যবেক্ষণ বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোনো একজন ব্যক্তির সঙ্গে সম্পূর্ণ সজ্ঞানে সহমতির ভিত্তিতে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার পর তা ধর্ষণ বলা যায় না। এ ক্ষেত্রে প্রতারণার অভিযোগ আনতে গেলে অভিযোগকারীকে অকাট্য প্রমাণ পেশ করতে হবে। অর্থাৎ, জোর করে সহবাস প্রমাণে নারীকে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। নয়তো তিনি বিয়ের প্💙রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করা পুরুষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন না।”
বিচারপতি আরও বলেন, “এই মামলায় অভিযোগকারীর বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নিজেই বলেছেন যে, স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ꧋যৌনতায় লিপ্ত হয়েছেন। সহবাসে কোনো প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করেননি। আবার সেই পুরুষের বিরুদ্ধেই তিনি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করছেন। ধর্ষণ নিয়ে এ ধরনের মামলার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আর🐈ও ভেবে দেখা প্রয়োজন।”