• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


এন্টার্কটিকা গবেষণা কেন্দ্রে যৌন হয়রানির শিকার নারীরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২, ০৯:১৯ পিএম
এন্টার্কটিকা গবেষণা কেন্দ্রে যৌন হয়রানির শিকার নারীরা

এন্টার্কটিকায়  অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে নিরন্তর যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারী কর্মীরা। বিবিসি জানায়, সেখানে মুখ বুঁজে হয়রানি সহ্য করতে হয় তাদের। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে এমন ꦺতথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে এক বন্য সংস্কৃতি সৃষ্ট𓃲ি হয়েছে। সেখানে যখন তখন নারীদের শরীরে হাত দিতে উদ্ধত হয় পুরুষরা, অবাদে একসাথে রাত কাটানোর আমন্ত্রণ জানায় তারা। তাছাড়া ক্যাম্পের দেয়ালগুলোকে তারা অশ্লীল ছবি আর কথাবার্তা দিয়ে ভরিয়ে ফেলেছে।

নারীরা সেখানে রীতিমতো ভয়ে সময় পার করেন। এমনকি কটূ কথা শোনার ভয়ে নিজে💃দের মাসিকের সময়ের কথাও কাউকে বলতে পারেন না। তাই এই বিশেষ সময়টায় ব্যবহার্য সকল ধরনের বস্তু তারা লুকিয়ে রাখেন।

কয়েকজন নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করে অস্๊ট্রেলিয়ান এন্টার্কটিক ডিভিশন। তারা 💝জানায়, সাধারণত গ্রীষ্মের সময় ৫০০ জনের মতো অভিযাত্রী সেখানে যেতে পারেন। তবে শীতের সময়ে ক্যাম্পগুলোতে থাকে ডাক্তার, বাবুর্চি এবং মাঠ কর্মকর্তাসহ মাত্র ১৫-৩০ জন কর্মী। প্রায় এক বছর সেখানে থাকতে হয় তাদের।

সেখানে অবস্থানরত নারীরা মনে করেন এ🍸মন নির্জন এলাকায় তারা জরুরি কোনো সাহায্য পাবেন না। প্রয়োজন হলেই জরুরি সময়ে বাড়ি চলে যেতে পারেন না তারা। তাছাড়া সেখান থেকে তাদের পালানোর মতো উপায়ও নেই। ফলে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস সেই নির্যাতনকারীদের সাথেই কাজ করতে হয় তাদের। আবার অনেকসময় বড় পদের কোনো কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সাহসও পান না তারা।

ক্যাম্পগুলোর এমন পুরুষালি পরিবেশে নারী গবেষকরা তাদের মা🍸সিকের ব্যাপারটা লুকাতে তটস্থ থাকেন। তারা ভাবেন হয়তো তাদের এসব ব্যাপারে লজ্জা দেওয়া হতে পারে বা মাসিক ব্যাপারটিও হয়রানির নতুন কারণ হয়ে ওঠতে পারে।

কর্তৃপক্ষ এমন সংস্কৃতির পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা এই প্রতꦆিবেদন দেখে চলমান পর🌳িস্থিতির প্রতি নিন্দা জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশমন্ত্রী খুবই অবাক হয়েছেন এই প্রতিবেদন দেখে। তিনি যৌন হয়রানির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করার কথা বলেছেন।

Link copied!