• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


দুবাইয়ে নজিরবিহীন বন্যায় কার হাত!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
দুবাইয়ে নজিরবিহীন বন্যায় কার হাত!
বিরল বৃষ্টির বন্যায় ডুবেছে দুবাই এয়ারপোর্ট। ছবি: সংগ্রহ

শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতেরই (ইউএই) নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যেরই সবচেয়ে ধনী শহর দুবাই। এমন বিস্ময় জাগানো সুউচ্চ ভবন বিশ্বের কোথাও নেই। তবে পারস্য উপসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত চোখ ঝলসানো দুবাই শহরের ভূ-প্রকৃতি সচরা♉চর রুক্ষ, অনেকটা মরুর মতো। এখানে বছরে বৃষ্টিপাত গড়ে ১০০ মিলিমিটারেরও কম। অবশ্𝓡য মাঝেমধ্যেই ভারী বর্ষণ হয়ে থাকে। তবে দুবাইয়ের আমিররা মাঝেমাঝেই জোর করে মেঘ থেকে বৃষ্টি নামাতে চান।

তাই গত কয়ে🔯ক দশক ধরে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মরুময় দুবাইয়ের জমিনে কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানোর ইতিহাস আছে আমিরাতের। বিমান বা ড্রোন ব্যবহার করে সিলভার আয়োডাইডের মতো ক্ষুদ্রকণা নিক্ষেপ করে মেঘে আর্দ্রতাকে ঘনীভূত করার মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি নামানো হয়। মাঝে মাঝেই এভাবে বৃষ্টি নামানো হয়। আর গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুবাইয়ে রেকর্ড বৃষ্টিপাতে যে নজিরবিহীন বন্যা দেখা দিয়েছে তার পেছনে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি নামানোর ঘটন🐻ার দিকে ইঙ্গিত করেছেন অনেকে।

সামাজিক মাধ্যমের গুঞ্জনকে জোরালো করেছে কয়েকদিন আগের একটা ঘটনা। এর আগে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি নামানোর জন্য মঙ্গলবারের আগের দুই দিন( রোববার ও সোমবার) দুবাইয়ে বিমান মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে পরদিন মঙ্গলবার যে ভ👍য়াবহ বন্যা হয়েছে সেদিন বিমান মোতায়েন ছিল না।

২৪ ঘণ্টার অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পর কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি নামানো নিয়ে যে গুঞ্জন ডালপালা মেলছে তা নিয়ে আলোচনা বিশ্লেষণ চলছে। মূলত সেই বৃষ্টিপাত কতটা অস্বাভাবিক ছিল আর প্রবল ಌভারী বর্ষণের পেছনে কী কারণ কাজ করেছে-এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি।

তবে ঠিক কোন সময় কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানোর ঘটনা ঘটেছে, তা আলাদাভাবে যাচাই করে দেখতে পারেনি বিবিসি। তবে বিশেষজ্ঞরা বিষয়টাকে অনেকটা উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, এই ঝ🌼ড়ের ক্ষেত্রে এটার সামান্য প্রভাব থাকতে পারে। কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানোর বিষয়টি সামনে আনাটা ‘বিভ্রান্তিকর’।

আবার সন্দেহমুক্ত হতে পারেননি ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের জলবায়ুবিজ্ঞানের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ফ্রেডেরিক অটো। ত𒁃িনি অনেকটা কৌশলে বলেছেন, ‘এমনকি যদি দুবাইয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েও থাকে, তবে আগে থেকেই মেঘ সৃষ্টির জন্য পানি বহন করার মতো পরিবেশ সেখানে বিরাজমান ছিল।’

এদিকে, উপসাগরীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের ধরন নিয়ে গবে♓ষণা বা পর্যবেক্ষণ করেন এমন একজন আবহাওয়াবিদ মার্টিন আম্বাউম। যিনি ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের শিক্ষক। মঙ্গলবারের ভারী বর্ষণের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মার্টিন বলেন, ‘বিশ্বের এই অংশটি সাধারণত দীর্ঘদিন বৃষ্টিহীন থাকে। তবে অনিয়মিত, ভারী বৃষ্টি হয়ে থাকে। এরপরও এটা ছিল সবচেয়ে বিরল বৃষ্টিপাতের ঘটনা।’

Link copied!