শ্রীলঙ্কার ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) নেতা অনুড়া কুমারা দিশানায়েকে দেশটির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে এগিয়ে রয়েছেন। শনিবার দেশটিতে প্๊রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন স্থানীয় সময় ৭ল সাতটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হন ৩৯ জন। তবে ভোট শে🐈ষে গণনার প্রাথমিক পর্যায়ে তিন প্রার্থীর মধ্যে মূল লড়াইয়ের চিত্র উঠে আসে। তারা হলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, বিরোধী সঙ্গী জন বালাওয়া��গার (এসজেবি) সাজিথ প্রেমাদাসা ও এনপিপি জোটের দিশানায়েকে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত গণণা করা ভোটে বামপন্থী রাজনীতিবিদ দি♏শানায়েকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে আছেন। আজ সকালে প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, তিনি গণনা করা ভোটের প্রায় ৫০ শতাংশ পেয়েছেন।
একজন প্রার্থী যদি মোট ভোটের ৫১ শতাংশ পান, তবে ত♏াকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে শ্রীলঙ্কার নির্🍎বাচন কমিশন।
প্রাথমিক ফলাফলে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন সাজিথ। তিনি এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ২৬ শতাংশ ভোট। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ব𒉰িক্রমাসিংহের অবস্থান তৃতীয়। তিনি পেয়েꦗছেন ১৬ শতাংশ ভোট।
দিশানায়েকꩲেকে ইতিমধ্যে তার দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ ও বিক্রমাসিংহের সমর্থকেরা অভিনন্দন জানিয়েছেন।
কে এই অনুরা কুমারা দিশানায়েকে?
বামপন্থী জোটের প্রার্থী অনুরা কুমারা দিশানায়েকে মূলত এক🎃জন মার্ক্সবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত। তার দল বিমুক্🔯তি পেরেমুনা (জেভিপি), ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোটের বড় শরিক দল।
৫৫ বছর বয়সী শ্রীলঙ্কান এই রাজনীতিবিদ মূলত বেশ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী দিচ্ছেন এবারের নির্বাচনে। তার দল সরকারে নেই। তিনি যেই রাজনৈতিক জোটের নেতৃত্ব দেন (ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার) স🐽েই দলটি প্রধান বিরোধী🎃 দলও নয়। তারপরও প্রভাবশালী সব প্রার্থীকে পেছনে ফেলে এবারের নির্বাচনে বড় একটি ভোট নিয়ে এগিয়ে গেছেন তিনি।
নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে সঙ্গী জন বালাওয়েগার (এস🐈জেবি) নেতা সজিথ প্রেমাদাসাকে। প্রেমাদাসা শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রানাসিংহে প্রমাদাসার ছেলে। দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলাকালে ১৯৯৩ সালে সাবেক ওই প্রেসিডেন্ট আততায়ীর হাতে নিহত হন।
এছাড়া শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেও। রাজাপাকসা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভোটা𒁃ভুটির মাধ্যমে তাকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেয় শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট। শ্রীলঙ্কার প্রথম নির্বাহী প্রেসিডেন্ট জে আর জয়বর্ধনের ভাগ্নে তিনি।
২০২২ সালে অর্থনীতি ভেঙে পড়ার পর নিত্যপণ♋্যের ব্যাপক ঘাটতি এবং আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতি দেখা দেয় শ্রীলঙ্কাতে। মূলত সে সময়ই তার দল এনপিপির জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব উপস্থিতি দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।
রাজܫাপাকসে ভাইদের পদত্যাগে তৈরি হওয়া ক্ষমতার শূন্যতা দিশানায়েকে এবং তার দলের জন্য বৃহত্তর পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করে দেয়। প্রতিনিয়ত সামাজিক ন্যায়বিচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের কঠোর অবস্থান দেশটির জনগণকে আকৃষ্ট করে।
এছাড়া নিজের নির্বাচনীয় প্রচারণায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সুশাসনের প🃏্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছান তিনি।
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো থেকে ১৭৭ কিলোমিটার দূরে অনুরাধাপুরা জেলার থামবুটেগামা গ্রামে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯৬৮ সালে জন্ম দিশানায়েকের। কেলানিয়া বিশ্ববিদ্য༺ালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হন তিনি। ২০০০ সালে প্রথম সংসদ সদস্🦹য হন দিশানায়েকে।
২০১৪ সালে দিশানায়েককে ꦆদল বিমুক্তি পেরেমুনাতে (জেভিপি) নেতা হিসেবে নিযুক্ত পাওয়ার পর থেকে তিনি দলের ভাবমূর্তিটিকে উন্নত করার লক্ষ্যে এবং সহিংস অতীত 💯থেকে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।