ভারতের ২০১৪ ও ২💫০১৯ সালের নির্বাচনে লোকসভায় কোনো বিরোধীদলের নেতা ছি൩লেন না। সে সময়ে কংগ্রেস বৃহত্তম বিরোধীদল হলেও বিরোধীদলনেতা হওয়ার মতো আসন পায়নি তারা।
বিরোধীদলের নেতা হিসেবে জায়গা পেতে হলে লোকসভার মোট আসনের ১০ শতাংশ জিততে হবে। ফলে প্রথম মেয়াদে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সদস্য মাপন্ন মল্লিকার্জুন খড়গে ও দ্বিতীয় মেয়াদে অধী��ꦇর রঞ্জন চৌধুরী বিরোধীদলনেতা ছিলেন।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে অধীর হেরে গেছেন। কেবল তিনি নন, মধ্যপ্রদেশে দিগ্বিজয় সিংহ, ছত্তিশগড়ের সাবেক মুখ❀্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল, রাজস্থানের সি পি🎃 জোশি ও হিমাচলে আনন্দ শর্মার মতো প্রবীণ নেতারাও হেরে গেছেন। ফলে রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেসের জোট ইন্ডিয়ার নেতা কে হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
এ প্রশ্নের মধ্যেই বুধবার (৫ জুন) কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হয়। বৈঠকে বিরোধীদলের নেতা নির্বাচনের বিষয়ে সরাসরি কোনো আলোচনা হয়নি। তবে ঘরোয়া আ✨লোচনায় দলের নেতারা অনেকে রাহুল গান্ধীকে বিরোধীদলীয় নেতা বানানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির।
এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল কংগ্রেসের। তখন ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল গান্ধী। তবে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর বড় কৃতিত্ব রাহুলের বলেই ম♕নে করা হচ্ছে। তাই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে চান দলটির অনেক নেতা।
নেতারা বলেন, বিরোধীদলের প্রধানকে সিবিআই প্রধান, লোকপাল এবং মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার নিয়োগের বাছাই কমি🎶টির বৈঠকে যেতে হয়। এসব জায়গায় 🦩প্রধান বিচারপতি ও প্রধানমন্ত্রীও থাকেন। ফলে রাহুল গান্ধী বিরোধীদলের নেতা হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখোমুখি হয়ে নিজের মত বা আপত্তির বিষয়টি তুলে ধরতে পারবেন।
বৈঠকের আগে উদ্ধব ঠাকু♍রের শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাজারাম রাউত বলেন, আগামীবার ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠন করতে পারলে সেই সরকার ব্যবস্থায় রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হতে রাজি থাকলে এ নিয়ে তাদের আপত্তি থাকবে না।
কংগ্রেসের আরেক অংশ✱ের মতে, রাহুল গ🅰ান্ধী সারা দিন সংসদে থাকার লোক নন। ফলে তার জন্য বিরোধীদলের প্রধানের ভূমিকা পালন করা কঠিন। তিনি সংসদে বসে থাকার বদলে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার বিষয়ে আগ্রহী।
উল্লেখ্য, ভারতের ৫৪৩ আসনের এবারের লোকসভার নির্বাচনে কোনো দলই নিরঙꦚ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ পেয়েছে ২৯৩ আসন। অপরদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩৩ আসন।