এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যবহৃত ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি গোপনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের দ🐲ুই শীর্ষ বিএনপি নেতার উপস্থিতি ও তত্ত্বাবধানে গাড়িগুলো নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ ও অডি, পোরশে ও রেঞ্জরো🐲ভার ইত্যাদি।
&𒅌nbsp;এ সম্পর্কিত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন জমি ও সম্পদ কেউ যেন না কেনেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এই ঘোষণা দেওꦿয়ার পরপরই বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে নগরীর কালুরঘাট শিল্প এলাকার একটি ওয়্যারহাউস থেকে একে একে সরিয়ে নেওয়া হয় বিলাসবহুল গাড়িগুলো।
শনিবার (৩১ আগস্ট) ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টাꦑর অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ওই প্রতিবেদনে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে𒁃 নগরের কালুরঘাট শিল্প 𒈔এলাকায় (বিসিক) মীর গ্রুপের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউস থেকে বিলাসবহুল দামি গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, পটিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব অহিদুল আলম চৌধুরী পিবলু এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ হোসেন নয়ন গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার সময় তদারকি করছেন। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের গাড়ির চালক মনসুরও এস আলমের গাড়িগুলো ওয়্যারহাউস থেকে বের করার বিষয়টꦺি তদারকি করছিলেন।
দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাপক আলোচিত প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার স্বজনদের ব্যবহৃত গাড়িগুলো🌞 সরিয়ে নেওয়ার কাজে বিএনপি শীর্ষ নেতাদের সশরীরে উপস্থিত থাকার বিষয়টি জনমনে প্রশ্ন তৈরি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী📖 আরও জানান, বিলাসবহুল গাড়িগুলো ওয়্যারহাউস থেকে বের হওয়ার পরই বিএনপি ন♊েতা এনামসহ অন্যান্যরা ওই এলাকা থেকে সরে যান।
এ বিষয়ে জানতে এস আলম গ্রুপের বিশ্বস্ত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে দামি গাড়িগুলো ওয়্যারহাউস থেকে সরিয়ে অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে, গত ৫ আগস্ট রাতে নগরের নাসিরাবাদ আবাসিক এলা💞কা থেকে গাড়িগুলো সরিয়ে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকায় এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউসে রাখা হয়।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিও প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক বলেন, `সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও খবরে বলা হচ্ছে এস আল𒀰মের ওয়্যারহাউস থেকে বের করা হচ্ছে দামি গাড়ি। কিন্তু বাস্তবে আমি গিয়েছিলাম নগরীর কালুরঘাট শিল্প এলাকায় মীর গ্রুপের ওয়্যারহাউসে।`
তিনি আরও বলেন, “মীর গ্রুপের চেয়ারম্য꧙ান আব্দুস সালাম এবং আমি মামাতো-ফুপাতো ভাই। সালাম ভাই আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন বিএনপির কিছু ছেলে তার কাছে চাঁদা দাবি করেছে। তাই আমি বিএনপি নেতা সুফিয়ান ভাইকে সঙ্গে নিয়ে কালুরঘাট শিল্প এলাকায় (বিসিক) মীর গ্রুপের মালিকানাধীন ꦏএকটি ওয়্যারহাউসে যাই। সেখানে গাড়িগুলো কাদের ছিল তা আমি জানি না। আত্মীয়তার কারণে সালাম ভাইকে সহযোগিতা করতে সেখানে গিয়েছিলাম।”
এনামুল হক আরও বলেন, “মীর গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের 🏅মেয়ের সঙ্গে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের মেজ ছেলের বিয়ে হয়েছে। সেই সূত্রে তারা আত্মীয়। নিরাপত্তার জন্য তাদের ওয়্যারহাউসে এস আলমের গাড়ি রাখতেই পারে। এতে কোনো দোষ দেখছি না।”
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের মোবাই🧸ল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি একটি সমাবেশে আছি। পরে যোগাযোগ করুন।”