ইসরায়েলি হামলায় লেবাননের শিয়া ইসল♒ামপন্থী রাজনৈতিক দল ও স﷽শস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। এমন খবর জানার পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, “আঞ্চলিক সব প্রতিরোধী শক্তি হিজবুল্লাহর পাশে রয়েছে।”
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক লিখিত বিবৃতিতে খামেনি আরও বলেন, ‘হিজবুল্লাহর উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষতি করার জন্য ইসরায়েল খুবই নগণ্য। এ🦩ই অঞ্চলের ভাগ্য নির্ধারণ করবে প্রতিরোধী শক্তিগুলো। এই শক্তির শীর্ষে রয়েছে বিজয়ী হিজবুল্লাহ। নিজেদের সবকিছু নিয়ে লেবানন ও হিজবুল্লাহর পাশে গর্বের সঙ্গে দাঁড়ানো সব মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক।’
হিজবুল্লাহ লেবাননভিত্তিক সংগঠন হলেও তারা ইরানপন্থী হিসেবে পরিচিত। এ অঞ্চলে ইয়েমেনের হুতিসহ আরও কয়েকটি সশস্ত্র গোষ♓্ঠীর প্রত🎶ি তেহরানের সমর্থন রয়েছে।
গেল বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে 🎃ইসরায়ে🅺লের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী। তবে বর্তমানে ইসরায়েল–হিজবুল্লাহর সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। গত কয়েক দিন ধরে লেবাননে ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতভর রাজধানী ꧟বৈরুতসহ লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েল ১৪০টি লক্ষ্যবস্তুতে হা👍মলা চালায়। দেশটি জানায়, হিজবুল্লাহর কমান্ড সেন্টারে হাসান নাসরুল্লাহসহ অন্য নেতাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে।
এরপর শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক༒্সে এক পোস🍰্টে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, হিজবুল্লাহরপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন।
মূলত, ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ লেবাননে ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল বাহিনী। এতে দেশটিতে নারী ও শিশুসহ ৭🌞০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৮০০ জনের বেশি। এর আগে ২০০৬ সালে ইসরায়েল–হিজবুল্লাহ যুদ্ধ হয়েছিল। তারপর থেকে বর্তমান এই সংঘাতকে সবচেয়ে ভয়াবহ বলা হচ্ছে।