যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে নিষেধাজ্ঞার যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত সরকার। নরেন্দ্র মোদি প্রশাসন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের আচরণﷺ সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় বহন করে।
বুধবার (১৫ মে) এক অনুষ্ঠ🐽ানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ জবাব 𒁃দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিম🎐িটেড (আইপিজিএল) ও ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই করেছে। এই চাবাহার বন্দর একটি ভারত-ইরান ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প। এটি আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট।
চুক্তি সইয়ের পরদিন মঙ্গলবার ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের 🦩নাম উচ্চারণ না করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, যারা ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি করবে, তাদের মনে রাখা উচিৎ, তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর নিষেধাজ্ঞায় পড়ার পথ খুলে দিচ্ছে।
বেদান্ত প্যাটেল আরও বলেন, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এখনও কার্যকর; যা আরও জোরদার করা হবে। যেসব পক্ষ ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক ♍চুক্তি করার কথা ভাবছে, তাদের সম্ভাব্য মার্কিন ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস♔ জয়শঙ্কর বলেন, এটি (চুক্তি) আসলে সবার সুবিধার জন্য। আমি মনে করি না কারও এটি সম্পর্কে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া উচিৎ। যুক্তরাষ্ট্রই অতীতে চাবাহারের বৃহত্তর প্রাসঙ্গিকতার প্রশংসা করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “এই চুক্তির ফলে চাবাহার বন্দরে বড় বিনিয়োগের পথ খুলে যাবে। প্রকল্পটি সমগ্র অঞ্চলের জন্য ভালো হবে। চাবাহার বন্দরের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। আমরা কখনো⭕ই একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারিনি। অবশেষে আমরা এটি সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিটি প্রয়োজনীয়। কারণ 👍এটি ছাড়া সত্যিই বন্দর পরিচালনার উন্নতি করা সম্ভব না।”