হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর ৪০ দিন পর ইরানে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হচ্ছে। শুক্রবার (২৮ জুন) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তরুণদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন সংস্কারবাদী প্রার্থী মাসৌদ পেজেশকিয়ান। তিনি সর্বোচ্চ ভোট পেতে পাবেন বলে উঠে ꦏএসেছে ‘প্রাইভেট রিপাবলিকান গার্ড পোলিংয়ে’র তথ্যে।
‘প্রাইভেট রিপাবলিকান গার্ডের’ তথ্যটি জনসাধারণের জন্য পཧ্রকাশ করা না হলেও ফলাফলটি দেখেছে মধ্যপ্র🐠াচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই। তাতে দেখা গেছে মাসৌদ পেজেশকিয়ান পেতে পারেন ৩৭ শতাংশ ভোট। তাতে নির্বাচন রানঅফে গড়ালেও তার জয়ের সম্ভাবনা বাড়বে।
মাসৌদ পেজেশকিয়ান ছাড়াও এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ইএনটি সার্জন আমির হোসেন গাজᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚিজাদে হাসেমি (৫৩), সাঈদ জালিলি, মোস্তফা পুরমোহাম্মদি, মোহাম্মদ বাগের গালিবাফ ও আলিরেজা জাকানি। এসব প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র মাসৌদই সংস্কারবাদী ব্যক্তি। বাকিরা ইসলামিক রক্ষণশীল মনোভাবাপন্ন।
রক্ষণশীল প্রার্থীদের মধ্য থেকেই কেউ যেন প্রেসিডেন্ট হতে পারেন সেজন্য তা🐷দের এক হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছেন রক্ষণশীল নেতারা। কিন্তু তা সত্ত্বেও মোহাম্মদ বাকের গালিবাফ ও সাঈদ জালিলি নিজেদের অবস্থান শক্তভাꦚবে ধরে রেখেছেন। যা রক্ষণশীলদের ভোট ব্যাংকের ক্ষতি করছে।
এর মধ﷽্যে অবশ্য আলী রেজা জাকানি এবং আমীর হোসেন কাজী জাদেহ নামের দুই প্রার্থী নির্বাচন থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
মাসদাদের ফেরদৌসী বিশ্ববিদ্যালয়ের চালানো একটি জরিপে দেখা গেছে মাসৌদ পেজেশকিয়ান ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পাবেন। ১৯৮০ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধে য🍒োদ্ধা এবং চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছেন মাসৌ💖দ।
ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের প্রথম ধাপে প্রেসিডেন্ট 🔯নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে। কেউ যদি এই ‘ম্যাজিক ফিগার’ স্পর্শ করতে না পারেন তাহলে নির্বাচন গড়াবে দ্বিতীয় ধাপে। যা রানঅফ নামে পরিচিত। এই রানঅফে লড়বেন নির্বাচনের প্রথম ধাপে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্র⛎ার্থীরা।
জরিপে উঠে এসেছে𒁃, নির্বাচনಞ রানঅফে গড়ালে সেখানেও সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে মাসৌদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৫ জুলাই রানঅফের তারিখ নির্ধারণ করা আছে।
২০২১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হয়ে🍃ছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। কিন্তু গত ২০ এপ্রিল হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যু হয় তার। এ❀রপর সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজন করে ইরান।
ইব্রাহিম রাইসি যখন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন তখন সংস্কারবাদী এবং শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এরফলে তার জয় অন💮েকটা নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল।