রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাদের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন দ্বিগুণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সের্গেই শোইগু। সেখানেই রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘ট্যাকটিক্যাল মিসাইল করপোরেশনের’ কর্মকর্তাদের প্রতি এমন আহ্ব🔯ান জানান🉐 তিনি।
বুধবার (৩ মে) কাতারভ༺িত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাতের জের ধরেই তিনি এই আহ্বান জানান। মস্কো ও কিয়েভ যেভাবে সংঘাত চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে দুই পক্ষের সেনাবাহিনীই গোলাবারুদের সংকটে প𒐪ড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শোইগু বলেছেন, এখন পর্যন্ত মিসাইল করপোরেশন তাদের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব বেশ ভালোভাবেই প💝ালন করে যাচ্ছেন। এ মুহূর্তে, কম সময়ের মধ্যে উচ্চ-নির্ভুল অস্ত্রের উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হবে।
রাশিয়া উচ্চ-নির্ভুল গোলাবারুদ কম চাল🐻াচ্ছে কি না, সে বিষয়টি সামরিক বিশ্লেষকরা নির্ধারণ করার চেষ্টা করছেন। কারণ, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছোট পরিসরে হতে দেখা যাচ্ছে।
দ্য ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার বুধবার জানিয়েছে যে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন সম্পর্কে শোইগুর মন্তব্য কিছু বিষয় স্পষ্ট করছে। তার মন্ত্রণালয় রুশ বাহিনীর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে গোলাবারুদ মজুত রা🔥খতে পারেনি এবং আসন্ন ইউক্রেনীয় হামলার পাল্টা আক্রমণের উদ্বেগের মধ্যে সক্রিয় অবস্থান দেখাতে পারেনি। সম্ভবত এই দাবিগুলো থেকে সরে আসার জন্যই এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের কেন্দ্রস্থলে রসদ সমস্যা রয়ে গেছে। আক্রমণাত্মক সাফল্য অর্জনের জন্য রাশিয়ার কাছে পর্যাপ্ত যুদ্ধাস্ত্র নেই বলেও ধারণা করা হচ্ছে। রাশিয়া তাদের প্রতিরক্ষাশিল্পকে গতিশীল করার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে চলেছে🐈, কিন্তু এটি এখনো যুদ্ধের সময়ের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে রাশিয়া মঙ্গলবারও কিয়েভে আক্রমণ চালিয়েছে।
বুধবার ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ছয় দিনের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আক্রমণ চালানো হয়েছে। তবে কিয়েভকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো সব রুশ ড্রোন ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এসব হামলায় তাৎক্♔ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়♊নি।
এ ছাড়া বুধবার রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়ার আরেকটি জ্বালানি সংরক্ষণাগারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চলগুলোর অন্তত তিনটি জ্বালানি সংরক্ষণাগারে হামলা ও অগ্নিকাণ্ডে🅷র ঘটনা ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রুশ সেনাদের লজিস্টিক দুর্বল করে দেওয়ার অংশ হিসেবে জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।