যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যা🐎টোতে সুইডেনের যোগদান নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন টানাপোড়েন। রাশিয়ার প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও ন্যাটোতে যোগদানে একপ্রকার মরিয়া হয়ে উঠেছে দেশটি। মূলত রাশিয়ার হুমকি থেকে বাঁচতে ইউরোপীয় এই দেশটি ন্যাটোর সদস্য হতে চেয়েছে। এরই মধ্যে রাশিয়ার সামরিক হামলার শিকার হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করছে সুইডেন।
সোমবার (১৯ জুন) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। সুইডেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে সুইডিশ পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা কমিটির রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ꦯসূত্রের বরাত দিয়ে রোববার সুইডেনের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এসভিটি এ খবর জানায়।
সুইডেন তার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আর✅ও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর গত বছর দেশটি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে। তবে তুরস্ক ও হাঙ্গেরি এখনো সুইডেনের এই আবেদন অনুমোদন করেনি।
সোমবার প্রকাশিত হওয়া সংসদীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান স্থলবাহিনী ইউক্🍌রেন যুদ্ধে ব্যস্ত থাকলেও সুইডেনের বিরুদ্ধে অন্য ধরনের সামরিক হামলার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
রিপোর্টের বরাত দিয়ে এসভিটি জানিয়েছে, সুইডেনের বিরুদ্ধে বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, দূরপাল্লার অস্ত্র বা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে সামরিক ♉অভিযান চালানোর মতো যথেষ্ট ক্ষমতা রাশিয়ার রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পরও তা অক্ষত আছে।
যদিও এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সুইডেনের পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা কমিটি🌞র চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।
এসভিটি বলেছে, ওই রিপোর্টে সুইডেনের জন্য একটি নতুন প্রতিরক্ষা তত্ত্বের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। ওই রূপরেখায় নি💃জেদের পূর্ববর্তী নিরপেক্ষ অবস্থানের পরিবর্তে সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পদ লাভের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বেশির ভাগ পশ্চিমা রাষ্ট্রের মতো স্নায়ু যুদ্ধের অবসানের পর সুইডেনও🔯 তার প্রতিরক্ষা ব্যয় কমিয়ে এনেছিল। কিন্তু বিদ্যমান বাস্তবতায় দেশটি আবারও তার প্✱রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়েছে।