পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাশিয়ার ꧅প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, নিজেদের পারমাণবিক রীতি মেনেই হামলা চাল𝓀াবে তারা। প্রেসিডেন্ট আরও বলেছিলেন, সেটা তখনই হবে যখন রাশিয়া তার সার্বভৌমত্ব বা আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার হুমকির মুখে পড়বে।
সপ্তাহ দুয়েক আগে গত ৫ জুন আন্তর্জাতিক সংবাদ সꦉংস্থা সেন্ট পিটার্সবার্গের সিনিয়র সম্পাদকের এক প্রশ্নের জবাবে এমন উত্তরই দিয়েছিলেন পুতিন। এবার আরেক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে হুমকি বাড়লে মস্কো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সময় পরিবর্তন করতে পারে।
রাশিয়ার নিম্নকক্ষের প্রতিরক্ষা কমিটির প্রধান আন্দ্রেই কার্তাপোলভকে উদ্ধৃত করে রোববার (২৩ জুন) এমন তথ্য জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ। এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্🤪রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছ꧃েন, এমন কোনো পরিস্থিতি যদি তৈরি হয় যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার প্রয়োজন, সেখানে এই অস্ত্র ♍ব্যবহার করবে তার দেশ।
পুতিনের সেই হুঁশিয়ারির পর কার্তাপোলভ বলেছেন, “যদি আমরা দেখি রাশিয়ারඣ বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ এবং হুমকি বাড়ছে, তার মানে হলো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সময় এবং এর ব্যবহার নিশ্চিত করা নিয়ে আমাদের নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” তবে সেই সময় কবে, কখন তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা ঠিক হবে না বলেও মত দিয়েছ🌳েন আন্দ্রেই কার্তাপোলভ।
রাশিয়ার পারমাণবিক মতবাদে বলা হয়েছে, যখন কোনো দ🍨েশ রাশিয়ার ওপর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর উদ্দেশ্যে পারমাণবিক বা অন্য কোনো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাবে এবং রাশিয়ার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে তখন প্রেসিডেন্ট পুতিন পারমাণবিক অসﷺ্ত্র ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেছেন🦩, রাশিয়া প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করার কথাও ভাবতে পারে। যদিও ব꧟র্তমানে এমন কোনো কিছু করার প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে রাশিয়া ও মার্কিন কূটনীতিকরা দাবি করেছিলেন, ২০২২ সালে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, এখ💃নও সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে। এর পরই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা নিয়ে দেশ দুটোর মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।