বিশ্বে বিলাসবহুল সৌখিন হাতঘড়ির জগতে সবচেয়ে আলোচিত নাম ‘রোলেক্স’। সেই ඣ১৯০৫ সালে যাত্রা শুরু করা কোম্পানিটি বিশ্বে প্রথম ওয়াটারপ্রুফ বা পানিরোধী ঘড়ি তৈরি করে। রোলেক্সের সব দামি ঘড়ি কোটি টাকার ওপরে। এমনকি সবচেয়ে কম দামের ঘড়িটির দামও বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই লাখ টাকার বেশি।
ঘটনাটা সেই রোলেক্স ঘড়ি নিয়েই। সত্তর দশকের প্রথম দিকে গ্রেট ব্রিটেনের শ্রপশায়ারের ওসওয়েস্ট্রির মরডা গ্রামে বাস করতেন জেমস স্টিল নামে এক কৃষক। তার হাতে ছিল দাম রোলেক্স ঘড়ি। একদিন তি꧑নি সেই ঘড়িটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ভাবলেন, ঘাসের সঙ্গে গরু হয়তো ঘড়িটি গিলে ফেলেছে প্রিয় ঘড়িটি। সে কথা ভেবে সন্ধান করেননি।
তবে ৫০ বছর পর যে সেই ঘড়িটি খুঁজে পাবেন তা কল্পনাতেও আনেননি কখনও। কিন্তু সেই অকল্পনীয় ঘটনাই ঘটেছে তার জীবনে। জেমস স্টিলের বয়স এখন ৯৫ বছর। শেষ জীবন পার করছিলেন। এত বছর পর হঠাৎ তার মনে ܫহয়েছে, ঘড়িটি হারিয়ে যাওয়ার কিছুটা আগে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, সেটির চেইন ভেঙে গেছে।
♍সেই কৌতুহল থেকেই চেইনের ভাঙা অংশের খোঁজে মেটাল ডিক্টেটর দিয়ে জমিতে তল্লাশি চালানো হয়। সে সময় একজন ঘড়িটি খুঁজে পান। পরে তা জেমসকে ফিরিয়ে দেন।
ঘড়িটি খুঁজে পাওয়ার ঘটনাকে ‘সৌভাগ্য’ বলে মনে করছেন জেমস। তিনি বলেন, “আমি খুবই খুশি। কখনো ভাবিনি ঘড়িটি আবার দেখতে পাব। কিন্তু এখন এটি আমার হাতে। যদিও সেটির কেবল অর্ধেকটা চেইন আছে। বাকি অর্ধেক ভেঙে বিচ্ছিন🉐্ন হয়ে গেছে।”
অবশ্য ঘড়িটি খুঁজে পাওয়া গেলেও সেটি আর সচল নয়। তবে ঘড়িটি যিনি খুঁজে পেয়েছেন জেমস তার প্রশংসা করে বলেন, চাইলে তিনি খুব সহজ🐎েই মিথ্যা বলে ঘড়িটি ফেরত না–ও দিতে পারতেন। জমিতে আরও মূ🌟ল্যবান জিনিস পাওয়া যেতে পারে। সেজন্য ওই ব্যক্তিকে ধাতুর খোঁজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। জেমস বলছেন, ঘড়িটি স্মারক হিসেবে রেখে দেবেন। কারণ এটি এখন তার কাছে ‘অমূল্য’।