সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলার পরপরই ই🔥সরায়েলের দিকে আঙ্গুল তুলেছে ইরান। পাল্টা হামলার হুমকিও দিয়েছে। তবে ইসরায়েলও পাল্টা হুমকি দিয়েছে, যদি তাদের ওপর হামলা চালানো হয়, তাহলে তারাও পাল্টা হামলা চালাবে। যদিও এখন অবধি ইরানের দূতাবাস প্রাঙ্গণে হামলার দায় স্বীকার করেনি ইসরায়েল। তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, অবশ্যই ইসরায়েলকে শাস্তি পেতে হবে।
এমন হুমকি, পাল্টা হুমকির উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে ইরানকে হুমকি দিয়ে বসেছে যুক্তরাষ্ট্ಌর। তারা ইরানের সম্ভাব্য হামলা থেকে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিতে উদগ্রীব। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ইরানের হামলার সময়, স্থান নিয়ে বার্তা পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেজন্য সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে দেশটির যুদ্ধজাহাজগুলো অবস্থান নিয়েছে বলেও এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরান ও ইসরায়েলের এমন পাল্টাপাল্টি হুমকিতে যুদ্ধের ꦕউত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ইরান যেমন সামরিকভাবে শক্তিশালী, একইভাবে ইসরায়েল কম যায় না༒। গেল বছরে ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইন্ডেক্সের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বিশ্বের শক্তিশালী ২০টি দেশের অন্যতম। সেই সময় অবধি ইসরায়েলের অধিকারে ছিল ২৪১টি যুদ্ধবিমান, ৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং ২ হাজার ২০০ ট্যাংক। যুদ্ধবিমানের মধ্যে রয়েছে এফ-৩৫। যেটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক রণ বিমান।
এছাড়া ইসরায়েলের রয়েছে ১ হাজার ২০০টি কামান🅺 ইউনিট। যার মধ্যে রয়েছে ৩০০টি এমএলআরএস। রয়েছে সাতটি যুদ্ধজাহাজ এবং ছয়টি অ্যাটাক সাবমেরিন। এরমধ্যে রয়েছে আইএনএস ড্রাকন নামের একটি সাবমেরিন। যেটি দিয়েܫ পারমাণবিক হামলা চালানো যাবে।
অন্যদিকে, বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্র ইরান। দেশটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তৈরির ক্ষেত্রে যে কোনো দেশের চেয়ে এগিয়ে। ইরান মূলত ড্𓆏রোন ও 🐷ক্ষেপণাস্ত্রের দিকেই বেশি মনোযোগী। তাছাড়া ইরানের রয়েছে স্পিডবোডের বিশাল বহর এবং ছোট ছোট সাবমেরিন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ইরানের কাছে সবচেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ক্রুজ ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। ইরানের কাছে যেসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে সেগুলো ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
সাম্প্রতিꦬক সময়ে ইরান সবচেয়ে বেশি শক্তি সঞ্চার করছে ড্রোনের দিক দিয়ে। তাদের কাছে এমনও ড্রোন আছে যেগুলো ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যেতে পারে। আর এসব ড্রোনের বিশেষত্ব হলো এগুলো খুবই নিচ দিয়ে উড়তে পারে। ফলে এসব ড্রোন রাডারে ধরা পড়ে না। ইরান তাদের ড্রোনগুলো মাটির নিচে অথবা পাহাড়ের ভেতর সুড়ঙ্গ তৈরি করে সংরক্ষিত করে রাখে। এছাড়া এসব ড্রোন ঘাঁটির কাছে থাকে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। অপরদিকে, ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় যে সামরিক শক্তি, সেটি হলো আয়রন ডোম। এটি একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।